
আজ অর্থাৎ বুধবার থেকে শুরু হচ্ছে রাজ্য সরকারের 'দুয়ারে পিজি' প্রকল্প। পশ্চিম মেদিনীপুরে হবে প্রথম ক্যাম্প। গ্রামের মানুষের কাছে চিকিৎসা পরিষেবা পাইয়ে দেওয়ার জন্য এই প্রকল্প। আপাতদৃষ্টিতে সাধু উদ্যোগ মনে হলেও এই ধরণের কর্মকান্ডে চিকিৎসা ব্যবস্থায় আসলে ক্ষতিই হচ্ছে বলে মনে করছেন একাধিক চিকিৎসক।
আজ থেকে পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়িতে 'দুয়ারে পিজি হাসপাতালের ডাক্তার' শিবির শুরু হবে। আগামীকালও এই পরিষেবা দেওয়া হবে। রবীন্দ্র ভবন ও খাজরা উচ্চ বিদ্যালয়ে এই শিবির আয়োজিত হবার কথা। সেই উদ্দেশ্যেই পিজি হাসপাতাল থেকে ৩৬ জনের মেডিক্যাল টিম মঙ্গলবারই ওই জেলায় পৌঁছেছে। যাঁদের মধ্যে আছেন মেডিসিন, এন্ডোক্রিনোলজি, কার্ডিওলজি, শিশুরোগ সহ একাধিক বিভাগের বিশেষজ্ঞরা। রক্ত, ইসিজি ইত্যাদি পরীক্ষার জন্য একাধিক সরঞ্জামও তারা সঙ্গে নিয়েছেন।
এছাড়াও ওই জেলার ১ হাজারেরও বেশি আশাকর্মীকে রোগীদের তালিকা তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। চিকিৎসক মহলের অনেকেরই দাবি এইভাবে চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রদান করা যায় না। সবকিছুরই একটা পদ্ধতি আছে।
অ্যাসোশিয়েশন অফ হেলথ সার্ভিস ডক্টরস (AHSD)-র পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, এইভাবে কাউকে স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়া যায় না। কলকাতার হাসপাতালগুলি থেকে যদি এইভাবে চিকিৎসক নিয়ে প্রতিটি জেলায় শিবির করা হয় তাহলে শহরের চিকিৎসা পরিষেবা ব্যাহত হবে। মাত্র ২ দিনের শিবিরে গ্রামের এত মানুষের প্রয়োজন মিটে যাবে? এতে চিকিৎসা পদ্ধতির সংজ্ঞাই বদলে দেওয়া হচ্ছে। বরং গ্রামেও এমন পরিকাঠামো তৈরি করা দরকার যাতে সারা বছর গ্রামের মানুষ উপকৃত হয়। শুধু চমকের জন্য বিনামূল্যে দু'দিনের শিবিরের কার্যকারিতা নিয়ে স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠবে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, জানুয়ারি মাসে এসএসকেএম-র প্রতিষ্ঠা দিবসে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি এই প্রকল্পের ঘোষণা করেছিলেন। সেই সময় তিনি বলেছিলেন, হাসপাতালের যারা জুনিয়র ডাক্তার আছে তাদেরকে গ্রামে গ্রামে গিয়ে চিকিৎসা পরিষেবা দিতে হবে। এতে তাদেরও লাভ, গরিব মানুষেরও লাভ।
GOOGLE NEWS-এ আমাদের ফলো করুন