
এবার খাস কলকাতাতেই বাংলাদেশী বলে মারধরের অভিযোগ উঠল। শিয়ালদার কারমাইকেল হস্টেলের পড়ুয়াদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত হিন্দিভাষী কয়েকজন ব্যববাসী। ঘটনায় ইতিমধ্যেই দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তদন্ত শুরু করেছে মুচিপাড়া থানার পুলিশ। আক্রান্তের মধ্যে চারজনের অবস্থা গুরুতর।
ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার রাতে মুচিপাড়া থানা এলাকায়। শিয়ালদা সেতুর নীচে কারমাইকেল হস্টেলের কয়েকজন পড়ুয়াকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। আক্রান্ত পড়ুয়ারা জানিয়েছেন, এদিন রাত সাড়ে ১০ টা নাগাদ তাঁরা কয়েকজন মিলে একটি দোকানে মোবাইলের কভার কিনতে যান। দোকানদারের দেখানো কভার পছন্দ না হওয়ার কথা জানান তাঁরা। এরপরেই ওই পড়ুয়াদের বাংলাদেশী, রোহিঙ্গা তকমা দিয়ে গালিগালাজ করা হয়। দেশ থেকে বের করে দেওয়ারও হুমকি দেন অভিযুক্তরা।
পড়ুয়ারা আরও জানিয়েছেন, তাঁদের লোহার রড ও হকি স্টিক দিয়ে মারধর করা হয়। আরও অভিযোগ, আহত পড়ুয়াদের উদ্ধার করতে হস্টেলের অন্যান্য পড়ুয়ারা গেলে তাঁদেরও মারধর করা হয়। এমনকি ছুরি দিয়ে কোপানোর চেষ্টা করা হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে। এরপরেই তড়িঘড়ি তাঁদের উদ্ধার করে কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। আহতদের মধ্যে চারজনের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে।
এরপরেই আক্রান্ত পড়ুয়ারা মুচিপাড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। হামলাকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবিতে রাত প্রায় তিনটের সময় ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা মুচিপাড়া থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান। পুলিশ জানিয়েছে, মধ্যরাতে ঘটনাটি ঘটায় দোকানপাট বন্ধ ছিল। যার কারণে অভিযুক্ত ব্যবসায়ীদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে বিলম্ব হয়েছে। সূত্রের খবর, সকাল থেকে অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
এই ঘটনার খরব পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছেন বাংলা পক্ষের নেতা গর্গ চ্যাটার্জী। আক্রান্ত পড়ুয়াদের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। পুলিশের সঙ্গে কথা বলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী জানিয়েছেন তিনি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন