
সোমবার রাতের পাঁচ ঘণ্টার টানা বর্ষণে গোটা শহর-শহরতলি কার্যত স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও কলকাতার অনেক জায়গায় জল নামেনি। মঙ্গলবার বৃষ্টির জলে ডুবে থাকা রাস্তায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একের পর এক মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ শহর। এখনও পর্যন্ত ১১ জনের প্রাণহানির খবর মিলেছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে দায় এড়ানোর রাজনীতি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা সিইএসসি (CESC) -কে কাঠগড়ায় তুললেও, সংস্থা নিজেদের দায় অস্বীকার করেছে। প্রশ্ন উঠছে - এত মৃত্যুর দায় নেবে কে?
এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট ভাষায় বিদ্যুৎ পরিষেবা সংস্থা সিইএসসি-কে কাঠগড়ায় তুলেছেন। তাঁর বক্তব্য, সতর্কতার অভাব এবং যথাযথ দায়িত্ব না নেওয়াই এই প্রাণহানির মূল কারণ। এছাড়া মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, মৃতদের পরিবারকে চাকরি ও ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। যদি সিইএসসি দায়িত্ব নেয়, ভালো। না হলে সরকারের পক্ষ থেকেই আশ্বাস থাকবে।
অন্যদিকে, নিজেদের দায় এড়িয়েছে বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা সিইএসসি। নিজেদের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে পোষ্ট করে তারা স্পষ্ট জানিয়েছে, "স্ট্রিট লাইট পোল, ট্রাফিক লাইটগুলি না আমাদের মালিকাধীন, না সেইগুলি আমরা রক্ষণাবেক্ষণ করি। আমাদের দল দিনরাত কাজ করছে, পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং আমরা সবসময়ই সংস্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি।"
অন্যদিকে, মঙ্গলবার রাতেও মিলেছে মৃত্যুর খবর। নরেন্দ্রপুরে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে। মাছ ধরতে গিয়ে পুকুরেই প্রাণ হারিয়েছেন তিনি বলে জানা গেছ।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন