
আসন্ন বিহার বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে বিহারে দাঁড়িয়ে পাল্টিবাজ নেতাদের কড়া সতর্কবার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য, এভাবে বারবার শিবির বদল করলে ওই পালটিবাজ নেতাদেরই গুরুত্ব কমে যাবে।
এই মুহুর্তে বিহারে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিজেপি সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী এক ঘরোয়া সভায় বলেন, “ভোট এলেই কিছু মানুষ অন্য দলে চলে যান। আবার ভোটের পর ফিরে আসেন। এতে কিন্তু আপনাদেরই গুরুত্ব কমে যায়"।
প্রধানমন্ত্রীর দাবি, দলের প্রতি সম্মান বজায় রাখলেই দল তাঁদের সম্মান দেবে। রাজনীতিতে সফল হওয়ার প্রধান সম্পদ হল ধৈর্য। মোদি বলেন, “ধৈর্যই দলের সবচেয়ে বড় সম্পদ। ধৈর্য থাকলেই স্বীকৃতি আর সম্মান দুটোই পাবেন"।
এই বার্তা প্রধানমন্ত্রী তাঁর নিজের দলের নেতাকর্মীদের জন্য দিলেও, তাঁর নিশানায় যে জোটসঙ্গী তথা বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারও রয়েছেন, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। কুর্সির টানে নীতিশের বারংবার দল বদল বিহারের মানুষদের কাছে জলভাত হয়ে গেছে। এমনকি 'পাল্টিবাজ' উপাধিও পেয়েছেন নীতিশ।
নীতিশ এই মুহূর্তে এনডিএ-র জোটসঙ্গী। কিন্তু এই 'পাল্টুরাম'-এর উপর ভরসা রাখতে পারছে না বিজেপির একাংশ। মুখ্যমন্ত্রী পদে প্রতিশ্রুতি না পেলে নীতিশ যে ফের দল বদলাবেন না, এমন ভরসা রাখতে পারছেন না অনেকেই। এই আবহে প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্য বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
এর পাশাপাশি বিহারে দাঁড়িয়ে স্বজনপোষণ ও পরিবারতন্ত্র নিয়েও তীব্র বিরোধিতা করতে শোনা যায় প্রধানমন্ত্রীকে। পাটনায় মোদী বলেন, "রাজনীতিতে কোনও সামন্ততন্ত্র বা রাজবংশ থাকা উচিত নয়। আপনি না হলে আপনার ছেলে টিকিট পাবে, এমনটা হওয়া উচিত নয়। এই রীতি বন্ধ হওয়া উচিত"।
মোদীর কথায়, "নেতা এবং কর্মীদের সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় থাকতে হবে। টিকিট পেতে আগ্রহী যে কারও কমপক্ষে ৫০,০০০ ফলোয়ার থাকা উচিত"। পাশাপাশি নির্বাচনে জিততে দলের নেতাকর্মীদের বুথ-স্তরের সংগঠনকে শক্তিশালী করার কথা জানান মোদী। তাঁর স্লোগান, "বুথ জিতুন, বিহার জিতুন।" তিনি বলেন, "বুথকে শক্তিশালী করুন। কারণ অনেক শক্তিশালী বুথই জয় নিশ্চিত করবে"।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন