Assam: মাত্র ১৫ মাসে ১৭১ এনকাউন্টার! আসাম মানবাধিকার কমিশনকে তদন্তের নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট

People's Reporter: শীর্ষ আদালত বলেছে, অভিযুক্ত ভুক্তভোগী বা তাদের পরিবারকে অবশ্যই বিচার প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের জন্য ন্যায্য সুযোগ দিতে হবে। সুরক্ষার স্বার্থে তাঁদের পরিচয় গোপন রাখতে হবে।
আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা
আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মাফাইল ছবি
Published on

মাত্র ১৫ মাসে ১৭১টি এনকাউন্টার! আসাম পুলিশের বিরুদ্ধে ওঠা 'ভুয়ো এনকাউন্টার' মামলায় এবার আসাম মানবাধিকার কমিশনকে সুষ্ঠ ও পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। মামলাটিকে গুরুতর বিবেচনা করে, বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি এন কোটিশ্বর সিংয়ের বেঞ্চ আসাম মানবাধিকার কমিশনকে অভিযুক্ত ভুক্তভোগীর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করার নির্দেশ দিয়েছে।

আদালত জানিয়েছে, "কিছু ঘটনা ভুয়ো এনকাউন্টার হতে পারে, এই অভিযোগ অত্যন্ত গুরুতর। এবং এটা প্রমাণিত হলে সংবিধানের ২১ অনুচ্ছেদের অধীনে সুস্থ জীবনযাপন অধিকারের লঙ্ঘন হিসেবে গণ্য হবে। তবে এটিও সমানভাবে সম্ভব যে একটি সুষ্ঠ ও স্বাধীন তদন্তের পর কিছু ঘটনা আইনত ন্যায্য এবং প্রয়োজনীয় বলে প্রমাণিত হতে পারে"।

সুপ্রিম কোর্ট আরও জানিয়েছে, প্রতিটি মামলা স্বাধীনভাবে দেখা উচিত এবং এটা নিশ্চিত করা উচিত যে, কোনও নিরাপরাধ ব্যক্তি নিহত হলে তাঁর জন্য জবাবদিহি নির্ধারণ করা যেতে পারে।

শীর্ষ আদালত কমিশনের জন্য একাধিক নির্দেশিকা জারি করে বলেছে, অভিযুক্ত ভুক্তভোগী বা তাদের পরিবারকে অবশ্যই বিচার প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের জন্য ন্যায্য সুযোগ দিতে হবে। পাশাপাশি, সুরক্ষার স্বার্থে অভিযুক্ত ভুক্তভোগীর পরিচয় গোপন রাখতে হবে।

আদালতে আসাম সরকারের তরফ থেকে উপস্থিত থাকা সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা যুক্তি দেন, তদন্তের ফলে নিরাপত্তা কর্মীদের মনোবল ভেঙে যাবে। কিন্তু আদালত এই যুক্তিকে গুরুত্ব দেয়নি।

শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, কমিশন যদি আরও তদন্তের প্রয়োজন বলে মনে করে, তাহলে তদন্তের জন্য অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তাদের নিযুক্ত করতে পারে।

আদালত আসাম সরকারকে সমস্ত প্রয়োজনীয়তা পূরণ করা এবং মানবাধিকার কমিশনের কাছে সমস্ত রেকর্ডের অ্যাক্সেস নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছে।

এর আগে ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে গুয়াহাটি হাইকোর্ট ওই জনস্বার্থ মামলা খারিজ করে দেয়। হাইকোর্টের ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করেন আরিফ মহম্মদ ইয়াসিন জোয়াদ্দার নামের এক আইনজীবী। তাঁর অভিযোগ ছিল, ২০২১ সালের মে মাসে হিমন্ত বিশ্ব শর্মা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পরের ১৫ মাসে যে ১৭১টি এনকাউন্টার হয়, তার মধ্যে ৮০টির বেশি ভুয়ো এনকাউন্টার। এর ফলে ২৮ জন নিহত এবং ৪৮ জন আহত হয়েছেন।

আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা
৬-৭ বার পাকিস্তান ভ্রমণ, গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে এবার আটক কংগ্রেস নেতার প্রাক্তন সহকারী

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in