

২০১৫ সালের একটি দাঙ্গা মামলায় উত্তরপ্রদেশের কংগ্রেস প্রধান অজয় রাই ছাড়া বাকি ৮১ জন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে সমস্ত অভিযোগ তুলে নিল যোগী সরকার। বৃহস্পতিবার বিশেষ এমপি-এমএলএ আদালত অভিযুক্তদের উপর থেকে সমস্ত অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য উত্তরপ্রদেশ সরকারকে অনুমতি দিয়েছে। যোগী সরকারের এই সিদ্ধান্তকে তীব্র কটাক্ষ করেছে কংগ্রেস। মুখ খুলেছেন অজয় রাইও।
২০১৫ সালে ‘অন্যায় প্রতিকার যাত্রা’ চলাকালীন ছড়িয়ে পড়া হিংসাত্মক সন্ত্রাসে যুক্ত থাকার অপরাধে কংগ্রেস নেতা অজয় রাই-সহ মোট ৮২ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয় বেনারসের দশাশ্বমেধ থানায়। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দাঙ্গা ছড়ানো, হত্যার চেষ্টা, আগুন লাগানো ও সরকারী সম্পত্তি নষ্ট করার অভিযোগে মামলা রুজু করা হয়। অভিযুক্তদের মধ্যে অজয় রাই ছাড়াও ছিলেন যোগী সরকারের বর্তমান মন্ত্রী দয়াশংকর মিশ্র ওরফে দয়ালু ও বেশ কিছু হিন্দু সাধু। বৃহস্পতিবার দয়ালু-সহ হিন্দু সাধুদের উপর থেকে অভিযোগের খাঁড়া নামিয়ে নিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের বিজেপি সরকার।
এদিন বিশেষ এমপি-এমএলএ আদালতের বিচারপতি অবনিশ গৌতম কং প্রধান ছাড়া বাকি ৮১ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তুলে নেওয়ার নিয়ে উত্তরপ্রদেশ সরকারের আবেদন মঞ্জুর করেছেন। অজয়ের পক্ষের আইনজীবী অনুজ সিংহ আদালতের এই রায়কে ‘পক্ষপাতদুষ্ট’ বলে উল্লেখ করেছেন। এমপি-এমএলএ আদালতের এই রায়ের বিরুদ্ধে এবার তারা এলাহাবাদ হাইকোর্টে আবেদন করবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। অজয় অবশ্য এই পদক্ষেপ নিয়ে যোগী সরকারকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করেছেন।
একটি বিবৃতিতে উত্তরপ্রদেশের কংগ্রেস প্রধান জানিয়েছেন, “ওদের (বিজেপি) কাছে ‘সনাতন’ শব্দের অর্থ আস্থা ও ভরসার প্রতীক নয়। ওদের কাছে ‘সনাতন’ হল রাজনৈতিক প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য ব্যবহৃত একটি অস্ত্র। ২০১৫ সালের ‘অন্যায় প্রতিকার যাত্রা’র সঙ্গে যুক্ত ৮২ জনের বিরুদ্ধে যখন এই সনাতন বিরোধী সরকার মামলা করেছিল, তখনই সেটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। তৎকালীন কাশীর শঙ্করচার্যের বিরুদ্ধে সরকারের দমন নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েই ওই মিছিলের আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু এখন আমাকে ছাড়া বাকি ৮১ জন অভিযুক্তের উপর থেকেই সমস্ত অভিযোগ তুলে নিল সরকার।” যোগী সরকারের এই ‘বৈষম্যমূলক পদক্ষেপ’এ তিনি ভয় পেয়ে পিছিয়ে যাবেন না বলেও জানিয়েছেন অজয়।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন