

বুধবার সন্ধ্যায় আর্থিক তছরূপের মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন হেমন্ত সোরেন। ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রাজ্যের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন চম্পাই সোরেন, যিনি হেমন্তের বিদায়ী মন্ত্রিসভায় পরিবহণ মন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন।
বুধবার বিকেলেই হেমন্ত সোরেনের সরকারি বাসভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ৬৭ বছর বয়সী চম্পাই সোরেনকে বিধানসভায় ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা বা জেএমএম-এর দলনেতা নির্বাচন করা হয়। এরপর জেএমএম-কংগ্রেস-আরজেডি জোট সরকারের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবেও বাছা হয় তাঁকে।
চম্পাই সোরেনের বিষয়ে কিছু কথা –
ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার প্রতিষ্ঠার সময় থেকে তিনি এই দলের সদস্য। দলের প্রতিষ্ঠাতা শিবু সোরেনের (হেমন্ত সোরেনের বাবা) ঘনিষ্ঠ ছিলেন চম্পাই।
অবিভক্ত বিহার ভেঙে পৃথক আদিবাসীভূমি ঝাড়খণ্ড গড়ার আন্দোলনে সক্রিয় ভুমিকা ছিল চম্পাই সোরেনের।
গোটা সিংভূম অঞ্চলের প্রভাবশালী এই নেতা সেরাইকেলা-খরসঁওয়া জেলার সেরাইকেলা আসনে ২০০৫ সাল থেকে টানা চার বার বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছেন। সিংভূমে ‘টাইগার’নামে পরিচিত তিনি।
জেএমএম-এনডিএ জোট সরকারেরও মন্ত্রী ছিলেন দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করা কৃষক পরিবারের সন্তান চম্পাই। জেএমএম-কংগ্রেস-আরজেডি জোট সরকারেও তিনটি দপ্তরের দায়িত্বে ছিলেন তিনি।
জেএমএম দাবি করেছে, এই মুহূর্তে ৪১ বিধায়কের সমর্থন রয়েছে চম্পাই সোরেনের কাছে। ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় মোট আসন সংখ্যা ৮০। ম্যাজিক ফিগার ৪১। তাই রাজ্যপাল আহ্বান জানালেই মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন চম্পাই।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, এর আগে নিজের স্ত্রী কল্পনা সোরেনকে পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন হেমন্ত। কিন্তু তাতে তাঁর বৌদি সীতা সোরেন সহ চার বিধায়ক আপত্তি জানানোয় সেই সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয়।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন