
মুম্বইয়ে নিজের বাড়িতেই দুষ্কৃতীদের দ্বারা আক্রান্ত হয় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন বলিউড অভিনেতা সইফ আলি খান। এরপরই সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে মহারাষ্ট্র সরকারকে নিশানা করছেন বিরোধীরা। মুম্বইয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ শহরের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
উদ্ধব শিবিরের শিবসেনা সাংসদ প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী এই হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন। এক্স মাধ্যমে তিনি লেখেনে, 'মুম্বইয়ে ফের একবার হাইপ্রোফাইল ব্যক্তিকে হত্যার চেষ্টা! সইফ আলি খানের উপর হামলা আবারও মুম্বাই পুলিশ এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ভূমিকার উপর প্রশ্ন তুলে দিল। ধারাবাহিকভাবে মুম্বইতে এমন হামলা চলছে। নামী ব্যক্তিদের টার্গেট করে মুম্বইকে ইচ্ছাকৃতভাবে দুর্বল করার প্রচেষ্টা চলছে।'
তিনি আরও লেখেন, "বাবা সিদ্দিকির মর্মান্তিক হত্যার পর তাঁর পরিবার এখনও বিচারের অপেক্ষায় রয়েছে। সালমান খানকে বুলেটপ্রুফ বাড়িতে থাকতে বাধ্য করা হচ্ছে। এখন সইফ আলি খান। সবই বান্দ্রায়। এটি এমন একটি এলাকা যেখানে সেলিব্রিটিদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি, সেখানে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা থাকার কথা। যদি সেলিব্রিটিরা নিরাপদ না হন তবে মুম্বাইতে কে নিরাপদ? সাইফ আলি খানের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি"।
এনসিপি শরদ পাওয়ার গোষ্ঠীর মুখপাত্র ক্লাইড ক্রাস্টো লেখেন, 'সইফ আলি খানের উপর আক্রমণ উদ্বেগজনক। কারণ এত নিরাপত্তা থাকার পরেও এমন উচ্চপদস্থ ব্যক্তিরা তাঁদের বাড়িতে আক্রান্ত হচ্ছেন, তাহলে সাধারণ নাগরিকদের কী হবে?'
সইফ আলি খানের ঘটনার পর বলিউড অভিনেত্রী পূজা ভাট এক্স মাধ্যমে লেখেন, 'আইন ও শৃঙ্খলা - আইন আছে কিন্তু শৃঙ্খলা কোথায়? স্থানীয় পুলিশ আমাদের প্রথম রক্ষাকারী। আইন এমন ভাবে প্রয়োগ করা উচিত যাতে দুষ্কৃতীরা অপরাধ করতে ভয় পায়। অপরাধমূলক কার্যকলাপ প্রতিরোধে প্রত্যেক অফিসারকে দায়িত্ব সহকারে কাজ করতে হবে।'
মুম্বইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে এই মুহূর্তে চিকিৎসাধীন সইফ আলি খান। সেখানেই তাঁর অস্ত্রোপচার হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, অভিনেতার শরীরে ছ’টি ক্ষত রয়েছে। এর মধ্যে দু’টি ক্ষত গভীর। আড়াই ঘন্টা ধরে চলেছে তাঁর অস্ত্রোপচার। শরীর থেকে ছুরির ভেঙে যাওয়া অংশ বের করা হয়েছে বলেই খবর। অভিনেতার কসমেটিক সার্জারিও হয়েছে।
মুম্বই পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (ডিসি) দীক্ষিত গেদাম জানান, "এক জন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি সইফ আলি খানের বাড়িতে ঢোকেন। ওই ব্যক্তির সাথে অভিনেতার হাতাহাতিও হয়। তদন্ত চলছে"। সূত্রের খবর, ঘটনার আগের ২ ঘণ্টার সিসিটিভি ফুটেজে ওই আবাসনে কাউকে ঢুকতে দেখা যায়নি। প্রাথমিক অনুমান আবাসনের মধ্যে থাকা কেউই এই হামলা চালিয়েছে। সইফের বাড়িতে কাজ করা ৩ কর্মীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন