SSC Scam: আসল OMR কোথায়? - ২৬০০০ চাকরি বাতিল মামলায় রাজ্যকে প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের

People's Reporter: ২০১৬ সালের পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করা হবে, নাকি যোগ্য ও অযোগ্য প্রার্থীদের আলাদা করার নির্দেশ দেবে শীর্ষ আদালত? অধীর আগ্রহে সেদিকে তাকিয়ে রয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা।
সুপ্রিম কোর্ট
সুপ্রিম কোর্ট ফাইল ছবি সংগৃহীত
Published on

বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্নার নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতির শুনানি শুরু হয়েছে। সকাল সাড়ে ১০টা থেকে শুরু হয় শুনানি। প্রায় ২৬ হাজার চাকরিচ্যুত ব্যক্তির ভবিষ্যত নির্ভর করছে সুপ্রিম কোর্টের উপর।

২০১৬ সালের পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করা হবে, নাকি যোগ্য ও অযোগ্য প্রার্থীদের আলাদা করার নির্দেশ দেবে শীর্ষ আদালত? অধীর আগ্রহে সেদিকে তাকিয়ে রয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা। প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত মামলার চূড়ান্ত নির্দেশ প্রকাশ্যে আসেনি।

শুনানিতে প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্না মন্তব্য করেন, "নম্বর কারচুপি হয়েছে। লিখিত পরীক্ষার নম্বর বেড়েছে"। একইসঙ্গে তিনি রাজ্যের আইনজীবী রাকেশ দ্বিবেদীর কাছে জানতে চান, যোগ্য ও অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের বাছাই করতে রাজ্য সম্মত কি না। রাজ্যের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তারা এই প্রক্রিয়ার সমর্থনে।

পাশাপাশি এসএসসির উদ্দেশ্যে প্রধান বিচারপতির প্রশ্ন, "কেন কলকাতা হাইকোর্ট বলেছিল যোগ্য এবং অযোগ্য আলাদা করা সম্ভব নয়? এটা আমাকে বোঝাতে হবে"। উত্তরে এসএসসির আইনজীবী জানান, এই প্রক্রিয়া বেশ জটিল। সেই কারণেই হয়তো কলকাতা হাইকোর্টের এই পর্যবেক্ষণ।

সিবিআইয়ের তদন্তে ওএমআর শিটে কারচুপির তথ্য উঠে এসেছে। তবে চাকরিচ্যুত প্রার্থীদের আইনজীবী দাবি করেন, উদ্ধার হওয়া শিটের বৈধতা যাচাই করার জন্য ৬৫বি এভিডেন্স আইন অনুযায়ী শংসাপত্র নেই। প্রধান বিচারপতি বলেন, “৬৫বি করে সার্ভার কারচুপি প্রমাণ করা সম্ভব নয়। আসল ওএমআর শিট নষ্ট হয়েছে"।

প্রসঙ্গত, চলতি বছর এপ্রিল মাসে ২০১৬ সালের এসএসসি নিয়োগের পুরো প্যানেল বাতিল করেছিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শাব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ। এর ফলে চাকরি হারান ২৫,৭৫৩ জন। 

এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে রাজ্য সরকার। পাশাপাশি, চাকরিহারা কয়েকজন প্রার্থীও মামলা করেন। ৭ মে সুপ্রিম কোর্টের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ হাইকোর্টের নির্দেশের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেয়।

এর আগের শুনানিতে প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্না জানিয়েছিলেন, আদালত দুই বিষয় নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে — পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল হবে, নাকি বেআইনি চাকরিপ্রাপ্তদের আলাদা করে বাতিল করা হবে। সুতরাং মামলা কোন দিকে এগোয় সেদিকেই সকলের নজর।

সুপ্রিম কোর্ট
One Nation One Election: ৩১ সদস্যের কমিটি, সময় ৯০ দিন! 'এক দেশ, এক ভোট' নিয়ে আলোচনা হবে জেপিসিতে
সুপ্রিম কোর্ট
‘দক্ষিণ ভারতীয়রা যোগ্য নয় এই পদের জন্য’ - নয়ডার সংস্থায় চাকরির বিজ্ঞাপন ঘিরে তীব্র বিতর্ক

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in