

বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড নিয়ে বিবৃতি দিল ভারতের বিদেশমন্ত্রক। সাজা ঘোষণার পরই ভারতের কাছে হাসিনাকে ফেরত চেয়ে আবেদন জানায় বাংলাদেশ। কারণ হাসিনা পুত্র সাজীব ওয়াজেদ দাবি করেছিলেন, তাঁর মা হাসিনা দিল্লিতে একটি গোপন আশ্রয়ে আছেন। ভারতের তরফ থেকে বাংলাদেশের আবেদনের জবাবে স্পষ্ট জানানো হয়েছে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক, আইনের প্রতি সম্মান জানিয়ে সমস্ত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
সোমবার বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানকে মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দেয় বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এছাড়া আর এক অভিযুক্ত প্রাক্তন পুলিশকর্তা আল-মামুনকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এরপরই হাসিনা এবং আসাদুজ্জামানকে দেশে ফেরাতে তৎপর হয়েছে বাংলাদেশ সরকার।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রক শেখ হাসিনার বিষয়ে একটি বিবৃতি জারি করেছে। যেখানে বলা হয়েছে, “বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিষয়ে 'বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল' কর্তৃক ঘোষিত রায় নিয়ে অবগত ভারত। ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী হিসেবে, ভারত বাংলাদেশের জনগণের সর্বোত্তম স্বার্থের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যার মধ্যে রয়েছে শান্তি, গণতন্ত্র, অন্তর্ভুক্তি এবং স্থিতিশীলতা। আমরা সর্বদা সেই লক্ষ্যে সকল অংশীদারদের সাথে গঠনমূলকভাবে যোগাযোগ করব”।
সাজা ঘোষণার পরই বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রক ভারত সরকারের কাছে চিঠি লিখে শেখ হাসিনাকে ফেরানোর আবেদন জানিয়েছিল। চিঠিতে লেখা হয়েছে, বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল ‘মানবতাবিরোধী’ পদক্ষেপের জন্য হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। তাই ভারতের উচিত বাধ্যতামূলক ভাবে হাসিনাকে বাংলাদেশের হাতে তুলে দেওয়া।
ইউনুস সরকার জানিয়েছে, দোষী সাব্যস্ত একজনকে আশ্রয় দেওয়া ভারতের জন্য ঠিক নয়। এতে দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক নষ্ট হবে। ভারত আইনের প্রতি সম্মান জানিয়ে হাসিনাকে ফেরত দিক।
বাংলাদেশের আইনজীবীদের একাংশ দাবি করেছেন দু’রকম পদ্ধতিতে হাসিনাকে ভারত থেকে বাংলাদেশে ফেরত আনা যেতে পারে। প্রথমত ২০১৩ সালে স্বাক্ষরিত একটি চুক্তির মাধ্যমে ভারত থেকে ফেরানো হতে পারে। দ্বিতীয়ত, ইন্টারপোলের মাধ্যমে হাসিনাকে গ্রেফতার করে বাংলাদেশে নিয়ে আসা। আর শেখ হাসিনা এবং প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যদি রায় ঘোষণার ৩০ দিনের মধ্যে আত্মসমর্পণ করেন তাহলে সুপ্রিম কোর্টে এই রায়ের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জও জানাতে পারবেন।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন