

বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা বাংলাদেশ আওয়ামি লিগের প্রধান শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দিল বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এই রায়ের পরই বাংলাদেশজুড়ে উৎসবে মেতে উঠেছেন হাসিনা বিরোধীরা। বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদার, বিচারপতি মহম্মদ শফিউল আলম মাহমুদ এবং বিচারক মহম্মদ মোহিতুল হক এনাম চৌধুরীর ট্রাইব্যুনাল এই নির্দেশ দিয়েছে।
শেখ হাসিনার সাথে বাংলাদেশের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানকেও মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আর এক অভিযুক্ত প্রাক্তন পুলিশকর্তা আল-মামুনকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
ছাত্র আন্দোলনের উপর গুলি চালানোর নির্দেশ, উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ এবং পুলিশকে সঠিকভাবে ব্যবহার না করার অভিযোগে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল। তাঁকে ট্রাইব্যুনালের মুখোমুখি হওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল কিন্তু তিনি তা করেননি। সোমবার ওই মামলার রায় ঘোষণা করল ট্রাইব্যুনাল।
বিচারক গোলাম মর্তুজা মজুমদার জানান, “মানবতাবিরোধী অপরাধ করার জন্য যা যা প্রয়োজন হাসিনা সবকটিই করেছেন। একাধিক আধিকারিকদের সাথে হাসিনার টেলিফোনের রেকর্ডিং আমরা শুনেছি, মামলাটি গভীরভাবে পর্যালোচনা করেছি। আন্দোলনকারীদের সাথে যে অত্যাচার হয়েছে তা স্পষ্ট। অপরাধ করে একবারও ক্ষমা চাননি হাসিনা। বরং আধিকারিকদের বারবার হুমকি দিয়েছেন। সবকিছু বিবেচনা করে ট্রাইব্যুনাল হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দিচ্ছে”।
বিচারপতি আরও জানান, "হাসিনা এবং আসাদুজ্জামান খানের বিরুদ্ধে ৫৪ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। সংখ্যাটা নেহাত কম নয়। দু’জনেরই শাস্তি হওয়া দরকার। অন্যদিকে রাজসাক্ষী হয়েছেন আল-মামুন। কী কী ভাবে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছিল তা সব জানিয়েছেন তিনি। আল-মামুন ক্ষমাও চেয়েছেন। তাঁকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হল।"
প্রসঙ্গত, ছাত্র আন্দোলনে অশান্তির ঘটনায় অভিযোগ ওঠে, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছিলেন আন্দোলনের উপর হেলিকপ্টার থেকে বোমাবর্ষণ করার। প্রয়োজনে ড্রোনের ব্যবহারও করতে বলেছিলেন। এমনকি পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হওয়া ছাত্র আবু সঈদের দেহের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পরিবর্তন করার জন্যও নাকি হাসিনা চিকিৎসকদের উপর চাপসৃষ্টি করেছিলেন। আন্দোলনকারীদের ‘রাজাকার’ বলে অপমান করেছিলেন তিনি।
যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন শেখ হাসিনার আইনজীবী। তিনি জানান, আন্দোলনে হেলিকপ্টার থেকে বোমাবর্ষণের কোনো পরিকল্পনাই হয়নি। কাউকে অপমানও করা হয়নি। আন্দোনকারীদের মৃত্যুর আসল সংখ্যা দেওয়া হয়নি।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন