Waqf Law: আজ শীর্ষ আদালতে ওয়াকফ শুনানি, একাধিক বিরোধিতার পাশাপাশি আইনের পক্ষে ৬ বিজেপি শাসিত রাজ্য

People's Reporter: আইনের বিরোধিতা করে গতকাল দলের পক্ষে পিটিশন দাখিল করেছেন CPIM পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম। এ ছাড়াও বিরোধিতা করে পিটিশন দাখিল করেছে কংগ্রেস, মিম, DMK, CPI, AAP, JDU ও বেশ কটি সংগঠন।
সুপ্রিম কোর্ট
সুপ্রিম কোর্ট ফাইল ছবি সংগৃহীত
Published on

বুধবার ১৬ এপ্রিল ওয়াকফ (অ্যামেন্ডমেন্ট) আইন, ২০২৫ নিয়ে শুনানি শুরু হতে চলেছে সুপ্রিম কোর্টে। এদিন দুপুর ২টোয় প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি সঞ্জয় কুমার ও বিচারপতি কে ভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হবার কথা। এই আইনের বিরোধিতা করে গতকালই পিটিশন দাখিল করেছেন সিপিআইএম পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম। এর আগে এই আইনের বিরোধিতায় পিটিশন দাখিল করেছে কংগ্রেস, মিম, ডিএমকে, সিপিআই, আম আদমি পার্টি, জেডিইউ এবং এক এনজিও সহ বেশ কয়েকটি সংগঠন।

একদিকে যেমন এই আইনের বিরোধিতা করে শীর্ষ আদালতে একাধিক পিটিশন দাখিল হয়েছে অন্যদিকে এই আইনের সমর্থনে ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে ছ’টি বিজেপি শাসিত রাজ্য আবেদন জানিয়েছে। যাদের মধ্যে আছে, হরিয়ানা, ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, আসাম ও মহারাষ্ট্র। যেখানে এই আইন বাতিল বা বদল করা হলে তার সম্ভাব্য প্রশাসনিক ও আইনি পরিণতি সম্পর্কে জানানো হয়েছে। হরিয়ানার সরকারের পক্ষ থেকে অবিলম্বে ওয়াকফ সম্পত্তির পরিচালক গোষ্ঠীর সংস্কার দাবি করা হয়েছে।

এই ছয় রাজ্যের বাইরে উত্তরাখণ্ড ওয়াকফ বোর্ডের পক্ষ থেকেও এই মামলায় পক্ষ হবার আবেদন জানানো হয়েছে। নতুন ওয়াকফ আইনের সমর্থক উত্তরাখণ্ড ওয়াকফ বোর্ড আদালতে আসাদুদ্দিন ওয়েইসি-র রিট পিটিশনে অংশ নেবার আবেদন জানিয়েছে। নিজের রিট পিটিশনে নতুন এই আইনের সাংবিধানিক বৈধতা চ্যালেঞ্জ করেছেন মিম প্রধান।

এক নজরে ওয়াকফ (সংশোধনী) আইন ২০২৫ বিতর্ক –

১) দীর্ঘ বিতর্কের পর প্রথমে লোকসভায় এবং পরে রাজ্যসভায় পাশ হয় ওয়াকফ (সংশোধনী) বিল ২০২৫।  গত ২ এপ্রিল লোকসভায় এবং ৩ এপ্রিল রাজ্যসভায় ভোটাভুটিতে পাশ হয় ওয়াকফ (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল। লোকসভায় এই বিলের পক্ষে এবং বিপক্ষে ভোট পড়ে যথাক্রমে ২৮৮ ও ২৩২। রাজ্যসভার ভোটাভুটিতে পক্ষে ও বিপক্ষে ভোট পড়ে ১২৮ ও ৯৫।

২) সংসদের নিম্ন ও উচ্চকক্ষে এই বিল পাশ হবার পর ৫ এপ্রিল এতে স্বাক্ষর করেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। গত ৮ এপ্রিল থেকে ওয়াকফ সংশোধনী আইন, ২০২৫ কার্যকরী হয়।  

৩) নতুন এই আইনের নাম হয়েছে – ইউনিফায়েড ওয়াকফ ম্যানেজমেন্ট, এমপাওয়ারমেন্ট, এফিসিয়েন্সি অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট (UMEED) অ্যাক্ট, ১৯৯৫।

৪) সংসদের দুই কক্ষে পাশ হয়ে আইন হবার পরেও এ নিয়ে বিতর্ক থামেনি। বিরোধী দলগুলির পক্ষ থেকে এই আইনকে “মুসলিম-বিরোধী” এবং “অসাংবিধানিক” বলে অভিহিত করে তীব্র সমালোচনা করা হয়। অন্যদিকে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে এই আইনকে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে সুবিধা প্রদানের লক্ষ্যে একটি “ঐতিহাসিক সংস্কার” হিসাবে দাবি করা হয়।

৫) এই আইন প্রসঙ্গে অল ইন্ডিয়া মজলিশ-ই-ইত্তেহাদুল মুসলমীন (মিম) প্রধান আসাদুদ্দিন ওয়েইসি বলেন, এই আইনে মুসলিম এবং মুসলিম সম্প্রদায়ের মৌলিক অধিকার নির্লজ্জভাবে লঙ্ঘিত হয়েছে।

৬) কেন্দ্রের বক্তব্য অনুসারে, ওয়াকফ (সংশোধন) আইন মুসলিম সম্প্রদায়কে লক্ষ্যবস্তু করে নয়, বরং “অতীতের ভুলগুলি সংশোধন করার জন্য” তৈরি করা হয়েছে। এই আইন প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু জানিয়েছেন, ভারতে কেউ “জোরপূর্বক এবং একতরফাভাবে” অন্য ব্যক্তির জমি দখল করার কোনও বিধান না রাখে তা নিশ্চিত করাই সরকারের উদ্দেশ্য ছিল। তিনি আরও বলেন, ওয়াকফ আইন সংশোধন করা হয়েছে কারণ কিছু বিধান “ওয়াকফ বোর্ডগুলিকে অভূতপূর্ব ক্ষমতা এবং কর্তৃত্ব” দিয়েছে।

সুপ্রিম কোর্ট
Waqf Amendment Bill: সংসদে পাশ হবার পরেই রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষর - আইনে পরিণত ওয়াকফ বিল
সুপ্রিম কোর্ট
Waqf Amendment Bill: ওয়াকফ সংশোধনী বিল বাতিলের দাবিতে কলকাতা, চেন্নাই, আহমেদাবাদে বিক্ষোভ

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in