রবিবার থেকে বিহারের সাসারাম থেকে বিরোধীদের ডাকে শুরু হয়েছে ‘ভোটার অধিকার যাত্রা’। লোকসভার বিরোধী দলনেতা ও কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী, বিহার বিধানসভার বিরোধী দলনেতা তথা আরজেডি বিধায়ক তেজস্বী যাদবের নেতৃত্বে আগামী ১৭ দিন ধরে বিহারের ২০টি জেলা জুড়ে চলবে এই অধিকার যাত্রা। কংগ্রেস, আরজেডি ছাড়াও এই অধিকার যাত্রায় যোগ দিয়েছে কংগ্রেস, আরজেডি, বাম সহ রাজ্যের একাধিক বিরোধী দল।
গতকাল সাসারামে ভোটার অধিকার যাত্রার শুরুতে এক ভিড়ে ঠাসা সভায় রাহুল গান্ধী বলেন, এই লড়াই কোনও নির্বাচনী লড়াই নয় – এই লড়াই দেশের সংবিধান রক্ষার লড়াই। ভারত জুড়ে আরএসএস ও বিজেপি গণতন্ত্রের ভিত্তিকে মুছে দিতে চাইছে। কিন্তু আমরা তা হতে দেবো না।
লোকসভার বিরোধী দলনেতা গতকালের সভায় আরও বলেন, বিরোধীদের হারাতে বিজেপি নতুন সংযোজন ‘ভোট চুরি’। এই প্রসঙ্গে মহারাষ্ট্রের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, ইন্ডিয়া মঞ্চ লোকসভা ভোটে বিপুলভাবে জয়লাভ করলো। কিন্তু এর মাত্র চার মাসের মধ্যে অনুষ্ঠিত বিধানসভা ভোটে বিজেপি জোট ক্ষমতায় এল। রাহুলের দাবি, লোকসভা ভোটের পরেই নির্বাচন কমিশন মহারাষ্ট্রের ভোটার তালিকায় প্রায় ১ কোটি নতুন ভোটার যুক্ত করে।
এদিনও রাহুলের বক্তব্যে আরও একবার উঠে আসে কর্ণাটকের মহাদেবপুরা আসনের কথা। রাহুল গান্ধী বলেন, কর্ণাটকে শুধুমাত্র ১টি বিধানসভা আসনে ১ লক্ষ ভোট চুরি করা হয়েছে। আমরা বারবার নির্বাচন কমিশনের কাছে বুথের ভিডিওগ্রাফি অথবা অন্যান্য তথ্য চাইলেও কমিশন তা দিচ্ছে না।
গতকালের সমাবেশে বিহারের বিরোধী দলনেতা তথা আরজেডি বিধায়ক তেজস্বী যাদব বলেন, আমাদের দেশের সংবিধান দেশের ধনী দরিদ্র, বড়ো ছোটো নির্বিশেষে সব মানুষকে ভোটাধিকার দিয়েছে। কিন্তু বিজেপি সেই ভোট চুরি করছে। যখন নিজেরা সেটা করতে পারছে না তখন নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে নিজেদের পক্ষে কাজ করাচ্ছে।
গতকালের সভায় সব বক্তাই জানান, ভোটার অধিকার যাত্রা কোনও নির্বাচনী প্রচার নয়। ভোটার অধিকার যাত্রা মানুষের অধিকার রক্ষার জন্য প্রতিরোধ গড়ে তোলা। এখানে যা হচ্ছে তা চুরি নয়, ডাকাতি। রাহুল-তেজস্বী তা কোনোমতেই হতে দেবে না। আমরা আপানাদের সমস্ত অধিকার রক্ষা করবো।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন