লোকসভার বিরোধী দলনেতা ও কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীর তোলা ‘ভোট চুরি’র অভিযোগ নিয়ে এবার রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে ১ কোটি ১২ লক্ষ ৪১ হাজার মানুষের স্বাক্ষর সম্বলিত অভিযোগপত্র তুলে দেওয়া হবে বলে জানালেন কর্ণাটকের কংগ্রেস সভাপতি তথা রাজ্যের উপ মুখ্যমন্ত্রী ডি কে শিবকুমার। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে এক বিবৃতিতে সোমবার একথা জানিয়েছেন শিবকুমার।
এদিন শিবকুমার খুব জোরের সঙ্গে বলেন, ভোট চুরি হয়েছে এবং যারা এই কাজের সঙ্গে জড়িত তাদের অবশ্যই অফিস ছাড়তে হবে। আমি আশাবাদী যে ভালো দিন আসবেই।
সোমবার বিকেল ৩টে ৩৯ মিনিটে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে (পূর্বতন ট্যুইটার) পোষ্ট করা বিবৃতিতে শিবকুমার জানিয়েছেন, “আজ, আমি #VoteChori প্রচারের সময় সংগৃহীত প্রতিটির যাচাইকৃত বিবরণ এবং ফোন নম্বর সহ ১.১২ কোটিরও বেশি স্বাক্ষর উপস্থাপন করেছি ।
শ্রী @RahulGandhi এবং শ্রী @Kharge এর নেতৃত্বে, কংগ্রেস দল নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় গুরুতর অনিয়ম সামনে এনেছে। আমাদের লড়াই প্রতিটি ভোট রক্ষা করা এবং ভারতের গণতন্ত্র রক্ষা করা।”
প্রসঙ্গত, রাহুল গান্ধী ‘ভোট চুরি’র অভিযোগ আনার পর কর্ণাটকে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এক স্বাক্ষর সংগ্রহ অভিযানের ডাক দেওয়া হয়। গত ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া প্রচারে সংগৃহীত এই স্বাক্ষর সম্বলিত অভিযোগপত্র রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছিল কংগ্রেস। এই প্রচারের প্রথম পর্বের শেষে সংগৃহীত ১ কোটি ১২ লক্ষ স্বাক্ষর রাষ্ট্রপতির কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে। বর্তমানে এই প্রচারের দ্বিতীয় পর্ব চলছে। আরও এক সপ্তাহ কর্ণাটক জুড়ে এই প্রচার চলবে।
এদিন সাংবাদিকরা ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধন (Special Intensive Revision – SIR) সম্পর্কে জানতে চাইলে শিবকুমার দাবি করেন, নির্বাচন কমিশন নিজেই ভুল স্বীকার করেছে এবং এতেই স্পষ্ট হয়েছে যে পদের অপব্যবহার করা হচ্ছে। বিহার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বহু যোগ্য ভোটারের নাম তালিকা থেকে বাদ দিয়ে কমিশন রাজ্যের প্রতি ন্যায়বিচার করেননি। শিবকুমারের দাবি, কমিশন এইসব ভোটারদের নাম বাদ দিয়েছে কারণ তাঁরা মহাজোটের ভোটার।
তিনি আরও বলেন, "এক ব্যক্তি, এক ভোট নিশ্চিত করা উচিত এবং সমস্ত অনিয়ম দূর করা উচিত"। "আমরা জানি যে সংবিধান এবং প্রতিষ্ঠানের স্বায়ত্তশাসনের অপব্যবহার করা হচ্ছে। আমরা তাদের কাছে আমাদের ন্যায়বিচার দেওয়ার আবেদন জানাচ্ছি; ন্যায়বিচারের আসন থেকে অবিচার যেন ছড়িয়ে না পড়ে। আমরা সমগ্র দেশকে শিক্ষিত করার চেষ্টা করছি।"
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন