কংগ্রেসের আনা ‘ভোট চুরি’র অভিযোগে যখন রাজনৈতিক মহল সরগরম তখনই কংগ্রেস সহ বিরোধীদের বিরুদ্ধে 'ভোট চুরি'র (Vote Chori) অভিযোগ আনলো বিজেপি (BJP)। বুধবার দেশের ছ’টি নির্বাচনী কেন্দ্রে কংগ্রেস সহ বিরোধীদের বিরুদ্ধে ভোটার তালিকায় গরমিলের অভিযোগ এনেছে বিজেপি। এই কেন্দ্রগুলির মধ্যে আছে ডায়মন্ডহারবার (Diamond Harbour), রায়বেরিলি (Rae Bareli), ওয়াইনাড (Wayanad), কনৌজ (Kannauj), মৈনপুরী (Mainpuri) এবং কোলাথুর (Kolhathur) বিধানসভা কেন্দ্র। অভিযোগ আনার পাশাপাশি বিজেপির পক্ষ থেকে এই চার কেন্দ্রের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা এবং অখিলেশ যাদবের সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দাবি করেছে বিজেপি।
বুধবার দিল্লিতে বিজেপির সদর দপ্তরে এক সাংবাদিক সম্মেলন করেন দলীয় নেতা অনুরাগ ঠাকুর। ওই সাংবাদিক সম্মেলনে স্লাইড শো-র মাধ্যমে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দাবি করেন রায়বেরিলি, ওয়াইনাড, কনৌজ, ডায়মন্ডহারবার – সব কেন্দ্র থেকেই প্রশ্ন আসছে ভুয়ো ভোটার নিয়ে। এর জন্য কি ওইসব সাংসদরা ‘ভোট চুরি’কে প্রশ্রয় দেবার কারণে ইস্তফা দেবেন?
এদিন অনুরাগ ঠাকুর (Anurag Thakur) কংগ্রেস, সমাজবাদী পার্টি, ডিএমকে, তৃণমূল নেতৃত্বের উদ্দেশ্যে বলেন, এরা সকলেই নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে এবং ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধন (Special Intensive Revision - SIR) নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। এই বিরোধীরা সকলেই অবৈধ অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশি ভোটারদের রক্ষা করতে চাইছেন। বিষয়টা এখন এমন দাঁড়িয়েছে যে ‘চোর মাচায়ে শোর’ হয়ে গেছে।
গত সপ্তাহের ৭ আগস্ট লোকসভার বিরোধী দলনেতা ও কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীর সাংবাদিক সম্মেলনের পরেই ‘ভোট চুরি’ নিয়ে দেশজুড়ে শোরগোল পড়েছে। রাহুল গান্ধী সম্প্রতি এক ভিডিওতে বলেছেন, “আপনার ভোট চুরি মানে আপনার অধিকার, আপনার পরিচিতির চুরি হচ্ছে।” সাংবাদিক সম্মেলনে রাহুল গান্ধী জানান, গত ১০-১৫ বছর ধরে নির্বাচনে ভোট চুরি হয়ে আসছে। যার সুবিধা পেয়েছে বিজেপি। তিনি বলেন, মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা এবং মধ্যপ্রদেশে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ভোটে যে ফলাফল এসেছে, তা ‘ইন্ডিয়া’ জোটের আশঙ্কাকেই সত্যি প্রমাণ করছে। রাহুল আরও অভিযোগ করেন, মহারাষ্ট্রে এক কোটিরও বেশি নতুন ভোটার হঠাৎ করে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনের মাঝখানে। এই ইস্যুতে তারা নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হলেও, কোনো উত্তর মেলেনি বলে জানান তিনি।
সাম্প্রতিক সময়ে বারবার নির্বাচন কমিশনের দিকে অভিযোগের আঙুল তুললেও এর আগে এত স্পষ্ট ভাষায় রাহুল কমিশনকে আক্রমণের রাস্তায় হাঁটেননি।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন