কাশ্মীরি, সংখ্যালঘুদের নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে জঘন্য প্রচার সন্ত্রাসীদের এজেন্ডাকেই সহায়তা করছে - CPIM

People's Reporter: CPIM জানিয়েছে, কাশ্মীরি ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে লক্ষ্য করে সোশ্যাল মিডিয়ায় জঘন্য প্রচার চলছে। পুরো দেশ দেখেছে যে কাশ্মীরিরা কীভাবে এক হয়ে সন্ত্রাসবাদীদের নিন্দা ও প্রতিবাদ করেছে।
ছবি প্রতীকী
ছবি প্রতীকী ফাইল ছবি, দ্য উইক থেকে সংগৃহীত
Published on

জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গী হানায় ২৬ জন নিরীহ পর্যটকের মৃত্যু এবং দেশে তার পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলো সিপিআইএম পলিটব্যুরো। শুক্রবার প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বিভেদ সৃষ্টিকারী পদক্ষেপ নিয়ন্ত্রণ করার আহ্বান জানিয়েছে সিপিআইএম।

ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “যখন পুরো দেশ পহেলগাঁওয়ে নৃশংস সন্ত্রাসবাদী হামলার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে সরব, তখন উত্তরাখণ্ড, উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র ইত্যাদি বিভিন্ন রাজ্যে জম্মু ও কাশ্মীরের ছাত্র এবং ব্যবসায়ীদের হুমকি এবং হয়রানির খবর পাওয়া যাচ্ছে। দেরাদুনে, একটি সাম্প্রদায়িক সংগঠনের হুমকি এবং চরম হুঁশিয়ারির কারণে বহু কাশ্মীরি ছাত্র তাদের বাড়ি ছেড়ে চলে গেছে।”

সিপিআইএম-এর বিবৃতি অনুসারে, “কাশ্মীরি এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে লক্ষ্য করে সোশ্যাল মিডিয়ায় জঘন্য প্রচার চলছে। পুরো দেশ দেখেছে যে কাশ্মীরিরা কীভাবে এক হয়ে সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের নিন্দা এবং প্রতিবাদ করেছে।”

সিপিআইএম পলিটব্যুরো জানিয়েছে, “এই সমস্ত কার্যকলাপ শুধুমাত্র সন্ত্রাসবাদীদের এজেন্ডাকে সহায়তা করছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই এই ধরণের বিশৃঙ্খলামূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। যারা জনগণের ঐক্যকে বিভক্ত এবং ব্যাহত করার চেষ্টা করে তাদের প্রতি কোনও নমনীয়তা দেখানো উচিত নয়।”

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার ২২ এপ্রিল দুপুরে জম্মু ও কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলার পহেলগাঁওয়ের বৈসরন উপত্যকায় নৃশংস জঙ্গি হামলায় অন্তত ২৬ জন নিরীহ পর্যটক প্রাণ হারান। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। এই বর্বরোচিত হামলার পর দেশজুড়ে নিন্দার ঝড় ওঠে। মঙ্গলবার রাতেই হামলার দায় স্বীকার করে পাক জঙ্গিগোষ্ঠী লশকর-ই-তৈবা-র ছায়া সংগঠন ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (টিআরএফ)। ২০২৩ সালে টিআরএফকে ‘সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী’ হিসাবে চিহ্নিত করে তাদের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল কেন্দ্র।

এর আগে গত ২৩ এপ্রিল এই ঘটনা প্রসঙ্গে এক বিবৃতিতে সিপিআইএম পলিটব্যুরো জানায়, “এই ভয়াবহ অপরাধের জন্য দায়ীদের গ্রেপ্তার করে শাস্তি দিতে হবে। পুলিশ এবং নিরাপত্তা বাহিনী কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে। এই অপরাধের সাথে যুক্তরা দেশের শত্রু, বিশেষ করে কাশ্মীরের জনগণের। জনাকীর্ণ পর্যটন স্থানগুলিতে নিরাপত্তার অভাব সহ আক্রমণের সকল দিক তদন্ত করা কেন্দ্রীয় সরকারের দায়িত্ব। চরমপন্থী মৌলবাদী শক্তির বিরুদ্ধে এই মর্মান্তিক মুহূর্তে সিপিআই(এম) ভারতের জনগণের সাথে ঐক্যবদ্ধ।”

ছবি প্রতীকী
Pahalgam: পহেলগাঁও কান্ডে নিরাপত্তার গাফিলতি নিয়ে প্রশ্ন করে বিজেপি কর্মীদের হাতে নিগৃহীত সাংবাদিক
ছবি প্রতীকী
Pahalgam: পাকিস্তানের সাথে সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তি স্থগিত করল ভারত! কৃষিক্ষেত্রে বিরাট ক্ষতির আশঙ্কা

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in