

মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল সি পি রাধাকৃষ্ণান (C P Radhakrishnan)-কে উপরাষ্ট্রপতি পদের প্রার্থী হিসেবে বাছাই করলো এনডিএ (NDA) শিবির। মহারাষ্ট্রের আগে তিনি ঝাড়খন্ডের রাজ্যপাল হিসেবেও দায়িত্ব সামলেছেন। রাজ্যপাল পদ সামলানোর আগে তিনি আইনজীবী হিসেবেও খ্যাতি অর্জন করেছিলেন।
এর আগে ২০০৪ থেকে ২০০৭ পর্যন্ত সি পি রাধাকৃষ্ণান বিজেপি তামিলনাড়ুর সভাপতির দায়িত্ব সামলেছেন। কোয়েম্বাটুর (Coimbatore) আসন থেকে তিনি ১৯৯৮ এবং ১৯৯৯, পরপর দু’বার বিজেপি (BJP) প্রার্থী হিসেবে লোকসভার সাংসদও নির্বাচিত হয়েছিলেন। যদিও ২০০৪, ২০১৪ এবং ২০১৯ সালে কোয়েম্বাটোর কেন্দ্র থেকে বিজেপি প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে তিনি পরাজিত হন।
৩১ জুলাই ২০২৪ মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল পদে যোগ দেবার আগে তিনি ২০২৩-এর ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২৪-এর জুলাই পর্যন্ত ঝাড়খন্ডের রাজ্যপাল ছিলেন। এছাড়াও তিনি তেলেঙ্গানার রাজ্যপাল (অতিরিক্ত দায়িত্বভার) হিসেবে ২০২৪-এর মার্চ থেকে ২০২৪-এর জুলাই পর্যন্ত দায়িত্ব সামলেছেন।
কেন এই উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন?
গত ২১ জুলাই নাটকীয়ভাবে উপ রাষ্ট্রপতি পদ থেকে ইস্তফা দেন জগদীপ ধনখড়। ওইদিন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে চিঠি দিয়ে ইস্তফার কথা জানান তিনি। ইস্তফা পত্রে কারণ হিসেবে স্বাস্থ্যজনিত সমস্যার কথা উল্লেখ করেছেন তিনি। ইস্তফা দেবার দিনেও রাজ্যসভায় অধ্যক্ষ হিসাবে অধিবেশন পরিচালনা করেছিলেন তিনি। তাঁর ইস্তফার কারণেই উপরাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
নিজের এক্স হ্যান্ডেলে রাষ্ট্রপতিকে লেখা চিঠি পোস্ট করেছিলেন জগদীপ ধনখড়। ৭৪ বছরের এই রাজনীতিবিদ চিঠিতে লেখেন, "নিজের স্বাস্থ্যকে প্রাধান্য দিতে চাই আমি। তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে চলার জন্য সংবিধানের ৬৭(ক) অনুচ্ছেদ অনুসারে ভারতের উপরাষ্ট্রপতি পদ থেকে পদত্যাগ করছি।"
চিঠিতে তিনি আরও লেখেন, "মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং সম্মানিত মন্ত্রী পরিষদের প্রতি আমি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা এবং সমর্থন আমার কাছে অমূল্য। আমি আমার দায়িত্ব পালনকালে অনেক কিছু শিখেছি।" চিঠিতে তিনি রাষ্ট্রপতিকেও "তাঁর অটল সমর্থনের" জন্য ধন্যবাদ জানান।
সি পি রাধাকৃষ্ণান
১৯৫৭ সালের ২০ অক্টোবর মাদ্রাজের তিরুপ্পুরে জন্ম সি পি রাধাকৃষ্ণান-এর।
মাত্র ১৬ বছর বয়সেই তিনি জনসংঘের সঙ্গে যুক্ত হন এবং পরে আরএসএস-এ যোগ দেন। উল্লেখযোগ্যভাবে তিনি রাজ্যপাল পদে থাকার সময়েও বিভিন্ন বক্তব্যে আরএসএস-এর প্রসঙ্গ তুলে ধরতেন। সাম্প্রতিক এক বক্তব্যেও তিনি আরএসএস-এর প্রশস্তি গেয়েছিলেন।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন