
নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির ক্ষমতা খর্ব করার জন্য আগেই বিল এনেছিল বিজেপি সরকার। এবার সেই বিলের পক্ষে জোরালো সওয়াল করলেন দেশের উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়। তাঁর মতে প্রশাসনিক নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রধান বিচারপতির থাকা অপ্রয়োজনীয়।
ভোপালে জাতীয় জুডিসিয়াল অ্যাকাডেমির অনুষ্ঠানে উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় প্রশ্ন করেন, 'সিবিআই অধিকর্তা নিয়োগে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি কেন থাকবেন? আমাদের মতো গণতান্ত্রিক দেশে এর কোনও আইনি বাস্তবতা আছে? এটা গণতন্ত্রের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। এই নিয়ে পর্যালোচনা করার সময় এসেছে।"
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে রাজ্যসভায় পাশ হয় নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে (ইসিআই) তিন সদস্যের কমিটি সংক্রান্ত বিতর্কিত বিল। নতুন এই বিল অনুযায়ী, মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এবং রাজ্যগুলির নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের সিলেকশন কমিটিতে এবার থেকে থাকবেন প্রধানমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী মনোনীত একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং বিরোধী দলনেতা। আগে এই কমিটিতে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী, দেশের প্রধান বিচারপতি এবং বিরোধী দলনেতা।
পাশাপাশি যে সার্চ কমিটির প্যানেল নির্বাচন কমিশনারদের জন্য নাম বাছবেন, সেই সার্চ কমিটি তৈরি করবেন আইনমন্ত্রী। আইনমন্ত্রীর পছন্দের তিন সদস্যের কমিটি সম্ভাব্য কমিশনারদের নাম ঠিক করবেন। আগে ক্যাবিনেট সচিবের নেতৃত্বে এই কমিটি গঠন করা হত।
এই বিল নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। তাদের অভিযোগ, সিলেকশন কমিটির তিনজনের মধ্যে দুজনই সরকার পক্ষের, তাই নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের ক্ষমতা শাসকদলের হাতেই থাকবে। সুপ্রিম কোর্টে মামলাও হয় এই বিলের বিরুদ্ধে। আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি শীর্ষ আদালতে এই মামলার শুনানি রয়েছে।
অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী, লোকসভার বিরোধী দলনেতা এবং সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে নিয়ে গঠিত প্যানেল সিবিআই ডিরেক্টর নিয়োগ করে বর্তমানে। উপরাষ্ট্রপতি ধনখড় এই কমিটি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন