

বিজেপিকে গণতন্ত্র এবং সংবিধানের সামনে বড়ো বিপদ। শনিবার একথা বলেছেন সমাজবাদী পার্টির প্রধান এবং সাংসদ অখিলেশ যাদব। লখনৌতে দলীয় কর্মীদের এক সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে অখিলেশ যাদব বলেন, ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিজেপি গণতন্ত্রকে হত্যা করছে। মানুষ সংবিধানের মাধ্যমে ভোটদানের অধিকার পেয়েছে, কিন্তু তা ছিনিয়ে নিচ্ছে। উপ নির্বাচনে ভোট লুঠ করা হয়েছে। মানুষকে ভোট দিতে আটকানো হয়েছে।
লখনৌর সমাজবাদী পার্টির কার্যালয়ে রাম মনোহর লোহিয়া প্রেক্ষাগৃহের ওই সভায় অখিলেশ আরও বলেন, সংবিধানকে বাঁচিয়ে রাখতে এখন ভালো মানুষের প্রয়োজন। বাবাসাহেব আম্বেদকর-এর সংবিধান দেশের গরিব মানুষ, কৃষক, পিছিয়ে পড়া দলিতদের শক্তি যুগিয়েছে। আর এখন বিজেপি সংবিধানের সেই অধিকারকে দুর্বল করছে।
অখিলেশ বলেন, বিজেপি ফেক নিউজের জন্মদাতা। যারা মিথ্যে বলে, বিরোধীদের বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা দাখিল করে এবং সবসময় সমাজবাদী পার্টির নেতৃত্বকে বদনাম করার চেষ্টা করে। সংবিধানকে দুর্বল করে বিজেপি একনায়কতন্ত্রের পথে হাঁটতে চাইছে।
সমাজবাদী পার্টির প্রধান আরও বলেন, বিজেপি কখনও গরিব মানুষের জন্য, কৃষকের জন্য কোনও কাজ করেনি। এরা শুধুমাত্র এঁদের কর্পোরেট বন্ধুদের জন্য এবং তাঁদের লাভের জন্য কাজ করে। বিজেপি সরকারের বিভিন্ন সিদ্ধান্তের জন্য দেশের অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, দেশে মুদ্রাস্ফীতি এবং বেকারি সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছে গেছে। নোটবাতিল থেকে গরিব মানুষ সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কালো টাকা কোথায় গেল? বদলে মানুষের কাজ চলে গেল। আজ বেকার যুবদের হাতে কোনও কাজ নেই, কর্মসংস্থানের কোনও সুযোগ নেই।
তিনি আরও বলেন, ২০২৭ সালে উত্তরপ্রদেশে সমাজবাদী পার্টি যদি সরকার গড়তে পারে তাহলে পিছিয়ে পড়া, দলিত মানুষদের জন্য সেই সরকার কাজ করবে এবং সকলের সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করবে। একমাত্র তা হলেও সাধারণ মানুষ তাঁদের অধিকার এবং সম্মান ফিরে পাবে। সমাজবাদী পার্টি অবিলম্বে দেশে জাতিগত জনগণনা চায়। এই জাতিগত জনগণনা হলেই সমাজের অবহেলিত অংশ তাঁদের অধিকার ফিরে পেতে পারে। একমাত্র তখনই সকলের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা দেওয়া সম্ভব।
অখিলেশ বলেন, বিজেপি সরকারের আমলে কৃষকদের কাছ থেকে কম দামে ফসল কিনে তা বেশি দামে বিক্রি করা হয়। কোনও মান্ডি ব্যবহার করা হয়না। অথচ, গরিব কৃষকদের কথা ভেবে সমাজবাদী পার্টির সরকার গরিবদের জন্য কিষাণ মান্ডি তৈরি করেছিল।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন