

উত্তরপ্রদেশে বিজেপির সাথে জোট বাঁধতে ব্যর্থ হওয়ার পরে, জনতা দল-ইউনাইটেড (জেডি-ইউ) এর শীর্ষ নেতৃত্ব কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরসিপি সিংকে আক্রমণের রাস্তায় হাঁটলো।
মোদি মন্ত্রিসভার মন্ত্রী আর সি পি সিং, জেডি-ইউ কোটার অধীনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হওয়া সত্ত্বেও বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের সাথে তাঁর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে বলে জানা গেছে। জেডি(ইউ) তাঁকে উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনে বিজেপির সাথে জোট করার দায়িত্ব দিয়েছিল। যদিও সেই জোট বাস্তবায়নে তিনি ব্যর্থ হয়েছেন।
JD-U-র জাতীয় সভাপতি রাজীব রঞ্জন সিং ওরফে লালন সিং ইতিমধ্যেই বলেছেন যে উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনে জেডি(ইউ)-র প্রার্থী ঘোষণা করতে বিলম্ব হচ্ছে আরসিপি সিংয়ের কারণে।
গত কয়েকদিন ধরে, জেডি-ইউ-এর কমবয়সী নেতৃত্ব উত্তরপ্রদেশের নির্বাচনী প্রচারে আরসিপি সিংকে দলের নেতৃত্ব দেওয়ার কথা বলছেন। তাঁদের বক্তব্য অনুসারে, আরসিপি সিং একজন প্রাক্তন আইএএস অফিসার, এবং দীর্ঘদিন ধরে উত্তরপ্রদেশে কাজ করেছেন। তাই সেখানকার হালহকিকৎ তিনি আরও ভাল বোঝেন।
নাম না প্রকাশ করার অনুরোধ জানিয়ে এক জেডি(ইউ) নেতা জানিয়েছেন, "নির্বাচনী প্রচারের সময় বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব, বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের মুখোমুখি আরসিপি সিংকে দাঁড় করিয়ে দেওয়া উচিৎ। এতে বিজেপি নেতৃত্বের সাথে আরসিপি সিংয়ের সম্পর্ককে তিক্ত হবে।"
গত বছর নরেন্দ্র মোদী সরকারের দ্বিতীয় সম্প্রসারণের সময় বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার আরসিপি সিংকে বিজেপির সাথে আলোচনার দায়িত্ব দিয়েছিলেন। মন্ত্রীসভা সম্প্রসারণের সময় JD-U মন্ত্রী পরিষদে দু’জন ক্যাবিনেট মন্ত্রী এবং দু’জন প্রতিমন্ত্রী চেয়েছিল। যদিও আরসিপি সিং JD-U কোটার অধীনে নিজের জন্য শুধুমাত্র একটি ক্যাবিনেট মন্ত্রী পদের ব্যবস্থা করতে পেরেছিলেন। যা লালন সিং, উপেন্দ্র কুশওয়াহা এবং অন্যান্যদের পদমর্যাদার নেতাদের বিক্ষুব্ধ করেছিল।
যদিও, আরসিপি সিং এখনও এই ঘটনার বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া জানাননি। তার অফিসিয়াল টুইটার হ্যান্ডেলেও এই বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
জেডি(ইউ) উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের জন্য এখনও পর্যন্ত ৫১ জন প্রার্থীকে প্রাথমিক বাছাই করেছে এবং তাদের মধ্যে ২৬ জনের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এই ২৬ জন প্রার্থী সেইসব আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন যেখানে বিজেপির শক্ত দখল রয়েছে বা বর্তমান বিধায়ক রয়েছে।
- With IANS Inputs
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন