

ধর্ষণ এবং খুনের অভিযোগে সাজাপ্রাপ্ত স্বঘোষিত ধর্মগুরু গুরমিত রাম রহিম ৪০ দিনের প্যারোলে জেলের বাইরে রয়েছে এই মুহূর্তে। এই সময়ের মধ্যে চুটিয়ে অনলাইন আধ্যাত্মিক প্রচার করছেন তিনি। তার এই 'সৎসঙ্গ' অনুষ্ঠানে একের পর এক হেভিওয়েট বিজেপি নেতাদের উপস্থিত হতে দেখা গেছে এতদিন। এবার এই অনুষ্ঠানে হাজির করা হলো ৩০০-র বেশি স্কুল পড়ুয়াকে।
উত্তরপ্রদেশের শাহজাহানপুরে এই ঘটনা ঘটেছে। অনুষ্ঠানের একটি ভিডিও ক্লিপ ব্যাপকভাবে ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যদিও এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি পিপলস রিপোর্টার। ইতিমধ্যেই ঘটনাটির তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন শাহজাহানপুরের বেসিক শিক্ষা অধিকারী (BSA)।
পুলিশ সূত্রের খবর, রোজা থানা এলাকায় অবস্থিত একটি লনে 'সৎসঙ্গ'-র আয়োজন করা হয়েছিল। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গেছে, স্কুলের ইউনিফর্ম পরা ৩০০ জন পড়ুয়া সেখানে উপস্থিত রয়েছে। তাদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন স্কুলের শিক্ষকরাও। অনুষ্ঠানটির জন্য একটি বিশাল স্ক্রিনের ব্যবস্থাও করা হয়েছিল।
পুলিশ আরও জানায়, প্রায় ২ হাজার জনেরও বেশি মানুষ জড়ো হয়েছিল ওই অনুষ্ঠানে। ফারুখাবাদ, লখিমপুর খেরি, হারদোই এবং পিলভীত সহ বিভিন্ন জেলার লোকেরা এই অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন। আয়োজকরা তাদের যাতায়াতের জন্য বাসের ব্যবস্থা করেছিলেন।
ধর্ষণ ও খুনে সাজাপ্রাপ্ত আসামীর অনুষ্ঠানে স্কুল পড়ুয়াদের হাজির করার ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই বিতর্ক শুরু হয়েছে। BSA সুরেন্দ্র কুমার রাওয়াত এক সংবাদ মাধ্যমে জানান, "আমি জানতাম না যে স্কুলের পড়ুয়াদের অনলাইন 'সৎসঙ্গ' অনুষ্ঠানে হাজির করা হয়েছিল। কোন স্কুল থেকে পড়ুয়াদের ওই অনুষ্ঠানে পাঠানো হয়েছিল, তা জানার জন্য ব্লক শিক্ষা আধিকারিককে নির্দেশ দিয়েছি। রিপোর্ট পাওয়ার পরই উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।"
ঘটনাটি ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি হওয়ায় 'সৎসঙ্গ' বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলকে বাড়ি ফেরানোর বন্দোবস্ত করা হয়। এক কর্মকর্তার কথায়, আয়োজকদের পরে থানায় নিয়ে যাওয়া হলেও কোনো অভিযোগ না থাকায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ সুপার সঞ্জয় কুমার জানান, "আমরা জানতে পেরেছি যে অনুষ্ঠানটি আয়োজনের জন্য কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি। সংশ্লিষ্ট এসএইচও-কে রিপোর্ট করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রিপোর্ট জমা দেওয়ার পরে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন