এক দলিত ইঞ্জিনিয়ারকে জুতোপেটা করার অভিযোগে উত্তরপ্রদেশের বালিয়া জেলার এক বিজেপি কর্মীকে গ্রেপ্তার করলো পুলিশ। ইঞ্জিনিয়ারের অফিসে ঢুকে তাঁকে জুতো দিয়ে মারেন ওই বিজেপি নেতা। এই ঘটনার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। শনিবার এই ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে। যদিও সেই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি পিপলস রিপোর্টার।
রবিবার বালিয়া পুলিশ জানিয়েছে, এক দলিত ইঞ্জিনিয়ারকে তাঁর অফিসে ঢুকে জুতো দিয়ে মারধোর করার অভিযোগে এক বিজেপি কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনার যে ভিডিও ভাইরাল হয়েছে তাতে দেখা গেছে বিদ্যুৎ বিভাগের সুপারিন্টেন্ডিং ইঞ্জিনিয়ার লাল সিং-এর দপ্তরে ঢুকে তাঁর সঙ্গে বচসায় জড়ান ওই বিজেপি কর্মী। এরপরেই নিজের জুতো খুলে ওই ইঞ্জিনিয়ারকে মারতে শুরু করেন ওই বিজেপি কর্মী। লাল সিং-এর অভিযোগ অনুসারে, ওই বিজেপি কর্মীর নাম মুন্না বাহাদুর।
নিজের অভিযোগে লাল সিং জানিয়েছেন, মুন্না বাহাদুর নামের এক ব্যক্তি সঙ্গে কয়েকজনকে নিয়ে কোনও অনুমতি ছাড়াই তাঁর অফিসে প্রবেশ করেন। তাঁকে নিগ্রহ করার আগে ওই ব্যক্তিরা তাঁর উদ্দেশ্যে জাতিভিত্তিক কটূক্তি করেন এবং এরপরেই তাঁকে যথেচ্ছভাবে লাথি, চড় এবং জুতো দিয়ে মারতে শুরু করেন।
অভিযোগে লাল সিং আরও জানিয়েছেন, অফিসের কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজ, ফাইল আক্রমণকারীরা ছিঁড়ে দেন। এছাড়াও লাল সিং যদি এই ঘটনার অভিযোগ থানায় জানায় তাহলে পরিবার সহ তাঁকে মেরে ফেলারও হুমকি দেয় আক্রমণকারীরা।
যদিও গ্রেপ্তারির আগে তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মুন্না বাহাদুর। তাঁর বক্তব্য অনুসারে, তিনি ওই ইঞ্জিনিয়ারের দপ্তরে গেছিলেন বিদ্যুৎ সংক্রান্ত কিছু বিষয় নিয়ে স্মারকলিপি জমা দিতে। তখন ওই ইঞ্জিনিয়ার লাল সিং তাদের উদ্দেশ্যে জাতিগত কটূক্তি করেন। এরপরেই তাঁরা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। তিনি নিজেকে আক্রান্ত বলেও দাবি করেন।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে স্থানীয় বিজেপি নেতা এবং জেলা সভাপতি সঞ্জয় মিশ্র জানিয়েছেন, মুন্না বাহাদুর তাদের দলের সক্রিয় কর্মী এবং আগে দলের কার্যকর্তা ছিলেন। তিনি আরও জানান, বিজেপি এই বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত নেবে তা জানার জন্য তিনি উচ্চতর নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন।
ঘটনার ভিডিও নিজের এক্স হ্যান্ডেলে পোষ্ট করে সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব লেখেন, ক্ষমতার অর্থ কাউকে আক্রমণ করা নয়। ঘটনা প্রসঙ্গে পুলিশ জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা এবং এসসি/এসটি (প্রিভেনশন অফ অ্যাট্রোসিটিস) আইনের অধীনে মামলা রুজু করা হয়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন