
তপসিলি জাতি/উপজাতি নিগ্রহ বিরোধী আইনে ইনফোসিসের সহ-প্রতিষ্ঠাতা সেনাপতি কৃষ গোপালাকৃষ্ণন সহ মোট ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, ৭১তম সিটি সিভিল অ্যান্ড সেশন কোর্ট (CCH)-র নির্দেশে বেঙ্গালুরুর সদাশিব নগর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
শুধু ইনফোসিসের সহ-প্রতিষ্ঠাতাই নন, এই মামলায় নাম রয়েছে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স (IISc)-র প্রাক্তন ডিরেক্টর বলরামেরও। ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্সের বরখাস্ত হওয়া এক কর্মীর অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা দায়ের হয়েছে।
অভিযোগকারী দুর্গাপ্পা হলেন বোভি উপজাতি সম্প্রদায়ের। তিনি আইআইএসসি-র সেন্টার ফর সাসটেইনেবল টেকনোলজির ফ্যাকাল্টি মেম্বার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তাঁর অভিযোগ, ২০১৪ সালে তাঁকে হানিট্র্যাপের মামলায় মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এমনকি তাঁর জাতি তুলেও অপমান করা হয়েছিল। পরে চাকরিও চলে যায় তাঁর।
ঘটনা ঘটার সময় ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্সের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ছিলেন গোপালকৃষ্ণণ।
বলরাম এবং কৃষ গোপালকৃষ্ণন ছাড়াও অন্যান্য অভযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন, গোবিন্দন রঙ্গরাজন, শ্রীধর ওয়ারিয়ার, সান্দ্য বিশ্বস্বরায়, হরি কেভিএস, দাশাপ্পা, বলরাম পি, হেমলতা মহীশি, চট্টোপাধ্যায়া কে, প্রদীপ ডি সওকর, মনোহরন।
উল্লেখ্য কৃষ গোপালকৃষ্ণন ২০০৭ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত ইনফোসিসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১১ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত ইনফোসিসের ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি। ২০১১ সালের জানুয়ারিতে, ভারত সরকার গোপালকৃষ্ণনকে দেশের তৃতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান পদ্মভূষণ প্রদান করে। ২০১৩-১৪ সালে গোপালকৃষ্ণন কনফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রির প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। এই মামলায় গোপালকৃষ্ণনের তরফ থেকে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন