
দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে উস্বাস্তুদের উপর বাড়তি নজর দিচ্ছে বিজেপি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-র কথাতেই তা স্পষ্ট। ১৭০০-র বেশি অননুমোদিত কলোনির মালিকানা প্রদানের ঘোষণা করা হয়েছে।
আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি দিল্লির বিধানসভা নির্বাচন। আপকে হারিয়ে ক্ষমতা দখল করতে মরিয়া গেরুয়া শিবির। সেই লক্ষ্যে একাধিক প্রতিশ্রুতি প্রদান করেছে বিজেপি। শনিবার তৃতীয় দফার ইশতেহার প্রকাশ করেছে বিজেপি। ইশতেহার প্রকাশের অনুষ্ঠানে অমিত শাহ জানান, "মোদীজি ১,৭০০-এরও বেশি অননুমোদিত কলোনির মালিকানার অধিকার প্রদানের ঘোষণা করেছেন। আগে এই কলোনিগুলিতে বাড়ি কেনা বা বেচার অনুমতি ছিল না। এখন তাঁদের পূর্ণ মালিকানার অধিকার প্রদান করে এবং আবাসন মন্ত্রকের নিয়মাবলী ও দিল্লির উপ-আইনের সাথে সামঞ্জস্য রেখে আমরা তাঁদের বাড়ি তৈরি ও বিক্রয়ের অধিকার দেব।"
তিনি আরও বলেন, দিল্লিতে প্রায় ১৩ হাজার দোকান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আমরা আইনজীবীদের সাথে আলোচনা করে সমস্ত দোকান খোলার ব্যবস্থা করব। আইনি জটিলতা থেকে দোকান মালিকদের মুক্তি দেব। ক্ষমতায় এলে ৬ মাসের মধ্যে দোকান খোলার ব্যবস্থা করব।
অমিত শাহ জানান, "১৯৪৭ সাল থেকে প্রতিষ্ঠিত রাজেন্দ্র নগর, লাজপত নগর এবং কিংসওয়ে ক্যাম্পের মতো শরণার্থী কলোনিতে বর্তমানে লোকজন ইজারা নিয়ে আছেন। তাঁরা জমি বিক্রি বা কিনতে পারবেন না। আমরা প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই কলোনিগুলিতে ইজারা নেওয়া জমিতে থাকা সমস্ত শরণার্থীদের মালিকানার অধিকার প্রদান করব"
শুধু উদ্বাস্তুদের জমির অধিকার নয়, দিল্লির ৫০ হাজার যুবক-যুবতীদের সরকারি চাকরি দেওয়ার ঘোষণাও করেছেন অমিত শাহ। তিনি বলেন, দিল্লিতে ক্ষমতায় এলে কর্ম সংস্থানের উপর জোর দেওয়া হবে। প্রত্যেক যুবক যাতে কাজে পায় আমরা সেটারই চেষ্টা করব। ২০ লক্ষ স্ব-নির্ভর কাজের বাস্তবায়ন করবে বিজেপি।
পাশাপাশি দিল্লিকে ১০০ শতাংশ বৈদ্যুতিন বাসের শহরে পরিণত করার প্রতিশ্রুতি দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, দিল্লিতে সরকারে এলে পরিবহন ব্যবস্থার উন্নতির জন্য ২০ হাজার কোটির বিনিয়োগ হবে। ১৩ হাজার বাসকে বৈদ্যুতিন বাসে পরিণত করা হবে।
অমিত শাহ আরও জানান, "আমরা টেক্সটাইল শ্রমিকদের জন্যও কাজ করব। শ্রমিকদের সহায়তা হিসাবে ১০,০০০ টাকা প্রদান করা হবে এবং নিবন্ধিত শ্রমিকদের দক্ষতা এবং ব্যবসা বৃদ্ধির জন্য ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়া হবে"।
যমুনা নদীকে সম্পূর্ণ দূষণমুক্ত করারও প্রতিশ্রুতি দেন অমিত শাহ। তিনি বলেন, "আমরা সবরমতী নদীর তীরের মতো যমুনা নদীর তীরেও উন্নয়ন করব। আমাদের সরকারের ৩ বছর পর, আমি কেজরিওয়ালকে তাঁর পরিবারের সাথে যমুনা নদীতে স্নান করার জন্য আমন্ত্রণ জানাতে চাই। আমাদের সরকার যমুনা নদীতে ১০০% ময়লা ফেলা বন্ধ করবে।"
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন