
কেন্দ্রীয় বাজেটে এনডিএ শাসিত বিহারকে ঢেলে সাজানোর ঘোষণা করেছেন নির্মলা সীতারমণ। তবে এনডিএ-র আরেক শরিক চন্দ্রবাবু নাইডুর টিডিপি শাসিত অন্ধ্রপ্রদেশের জন্য তেমন কোনও ঘোষণাই নেই। যা নিয়ে বিজেপিকে কটাক্ষ করেছে কংগ্রেস।
কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ নিজের এক্স মাধ্যমে লেখেন, 'বিহারে ঘোষণার জোয়ার বইছে বলে মনে হচ্ছে। এটা স্বাভাবিক, কারণ বছরের শেষের দিকে বিহারে নির্বাচন রয়েছে। কিন্তু এনডিএ-র অন্য স্তম্ভ, অর্থাৎ অন্ধ্রপ্রদেশ, কেন এত নিষ্ঠুরভাবে উপেক্ষা করা হচ্ছে?'
কংগ্রেস সাংসদ মনীশ তিওয়ারিও এই বাজেটের সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, 'আমি বুঝতে পারছি না এটা কি ভারত সরকারের বাজেট নাকি বিহার সরকারের? কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর পুরো বক্তৃতায় আপনি কি অন্য কোনও রাজ্যের নাম শুনেছেন?'
প্রসঙ্গত, চলতি বছর অক্টোবর-নভেম্বরে বিহারে বিধানসভা নির্বাচন। মনে করা হচ্ছে, বিহারে বিধানসভা নির্বাচনে আগে শরিকদের চাপের কথা মাথায় রেখেই সে রাজ্যকে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা মোদী সরকারের। বিহারে মাখনা চাষিদের উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে এদিন সীতারমণ জানান, ‘বিহারের মানুষের জন্য মাখনা বোর্ড তৈরি হবে। এই উদ্যোগের লক্ষ্য, রাজ্যে মাখনার উৎপাদন, প্রক্রিয়াকরণ এবং মূল্য সংযোজন বৃদ্ধি করা’।
এছাড়া বিহারে তৈরি হবে ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ফুড টেকনোলজি’। পাটনা বিমানবন্দর সম্প্রসারণ। শিল্প ও পরিষেবা পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য চারটি নতুন গ্রিনফিল্ড বিমানবন্দর। একটি ব্রাউনফিল্ড বিমানবন্দর নির্মাণ, পাটনা আইআইটির পড়ুয়ার সংখ্যা বাড়ানোর জন্যও বরাদ্দ, মিথিলা অঞ্চল এলাকায় ৫০ হাজার হেক্টর জমিতে চাষবাসের জন্য কুশি খাল প্রকল্প এবং খননে কেন্দ্রীয় সহায়তার কথা ঘোষণা করেছেন নির্মলা সীতারমণ। এদিন অর্থমন্ত্রীর শাড়িতেও ছিল বিহারের বিখ্যাত মধুবনি আর্টের ছোঁয়া।
উল্লেখ্য, বিহারের জেডিইউ এবং অন্ধের টিডিপি-র উপর নির্ভর করেই তৃতীয়বার সরকার গঠন করেছে বিজেপি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন