
অফিসে কাজের চাপ সহ্য করতে না পেরে ব্যাঙ্ক শাখার মধ্যেই আত্মঘাতী হয়েছেন এক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের সিনিয়র অফিসার। নিজের সুইসাইড নোটে স্পষ্টভাবে কাজের চাপকেই দায়ী করেছেন তিনি। যা প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয়েছে শোরগোল।
পুলিশ সূত্রে খবর, ওই আত্মঘাতী ব্যক্তির নাম শিবশঙ্কর মিত্র। বয়স ৪০। মহারাষ্ট্রের পুনের বারামতিতে এক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের সিনিয়র অফিসার ছিলেন তিনি। চলতি মাসের ১১ জুলাই ব্যাঙ্কের চিফ ম্যানেজার পদ থেকে তিনি পদত্যাগ করেন। কারণ হিসেবে স্বাস্থ্যজনিত সমস্যা ও অতিরিক্ত কাজের চাপের কথা উল্লেখ করেছিলেন। বর্তমানে নোটিশ পিরিয়ডে ছিলে তিনি।
পুলিশ সূত্রে আরও জানা গেছে, বৃহস্পতিবার ব্যাঙ্কের কাজকর্ম শেষে শিবশঙ্কর তাঁর সহকর্মীকে জানিয়েছিলেন, তিনি নিজেই ব্রাঞ্চ বন্ধ করে দেবেন। রাত ৯টা ৩০ মিনিট নাগাদ ওই ব্যাঙ্কের সিকিউরিটি গার্ড চলে যান। এরপর ব্যাঙ্কের সিসিটিভি ফুটেজ অনুযায়ী রাত ১০টা নাগাদ তিনি আত্মঘাতী হন।
রাত গভীর হলেও শিবশঙ্কর বাড়ি না ফেরায় এবং ফোনে না পাওয়া যাওয়ায়, তাঁর স্ত্রী খোঁজ করতে ব্যাঙ্কে আসেন। আলো জ্বলতে দেখে সন্দেহ হয়। ভিতরে অনেক ডাকাডাকি করে কোনও সাড়া শব্দ না মেলায় সন্দেহ তীব্র হওয়ায় এরপর ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে খবর দেন তিনি। পরে দরজা খুললে শিবশঙ্করের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।
শিবশঙ্করের মৃতদেহের কাছ থেকে যে সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়েছে, সেখানে তিনি কাউকে দোষারোপ করেননি। কাজের চাপের জন্যই এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন বলে লিখে গেছেন তিনি। পুলিশ সূত্রে খবর, সম্ভবত তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন।
তাঁর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। কাজের চাপেই নাকি অন্য কোনও কারণ আছে এই আত্মহত্যার পিছনে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। একটি মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। খতিয়ে দেখা হচ্ছে ব্যাঙ্কের সিসিটিভি ফুটেজও।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন