
দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে সিআইটিইউ, আইএনটিইউসি, এআইটিইউসি, ইউটিইউসি, এলপিএফ, এইচএমএস, টিইউসিসি, আইএনএলসি প্রভৃতি সংগঠনের ডাকে সাধারণ ধর্মঘট। যার সর্বাত্মক প্রভাব পড়েছে কেরালায়। জরুরি পরিষেবা বাদে প্রায় সমস্ত ক্ষেত্রেই বনধের ব্যাপক সাড়া মিলেছে বাম শাসিত কেরালায়।
কেরালায় যে বনধের প্রভাব সর্বাত্মক ভাবে পড়বে তা আগে থেকেই নিশ্চিত ছিল। দক্ষিণ ভারতের এই রাজ্যে গণপরিবহন থেকে শুরু করে সরকারি অফিস পর্যন্ত, ধর্মঘটের ব্যাপক প্রভাব দেখা গেছে সর্বত্র। কেরালায় সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে দোকানপাট, প্রতিষ্ঠান এবং বেশিরভাগ পরিষেবা। বেসরকারি বাসের পাশাপাশি সরকার পরিচালিত বাসগুলিও এদিন পথে নামেনি। ট্যাক্সি সহ অন্যান্য গণপরিবহনও ধর্মঘটকে সমর্থন জানিয়ে পথে নামেনি। রাস্তাঘাট প্রায় শুনশান।
তবে, জনসাধারণের দুর্ভোগ এড়াতে স্বাস্থ্য, জরুরি পরিষেবা এবং দুধ সরবরাহের মতো প্রয়োজনীয় পরিষেবাগুলিকে ধর্মঘটের বাইরে রাখা হয়েছে।
কেরালার পাশাপাশি অন্ধ্রপ্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ, উত্তরাখণ্ড, ত্রিপুরা, আসাম, তেলেঙ্গানা, তামিলনাড়ু সহ একাধিক রাজ্যে বনধ পালন করছেন বাম কর্মী সমর্থকরা।
অন্যদিকে, জম্মু ও কাশ্মীরে প্রশাসনের বাধা উপেক্ষা করেই বনধ সমর্থন করেন বাম কর্মী সমর্থকরা। কুলগামের সিপিআইএম বিধায়ক ইউসুফ তারিগামী বলেন, কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলির ডাকা সাধারণ ধর্মঘটের অংশ হিসেবে শ্রীনগরের শের-ই-কাশ্মীর পার্কে বিক্ষোভ প্রদর্শন করার জন্য সিপিআইএম-কে পূর্বে দেওয়া অনুমতি বাতিল করেছে প্রশাসন। শ্রমিক শ্রেণী বিরোধী এবং কৃষক বিরোধী নীতির বিরোধিতা করায় এই বিক্ষোভের উদ্দেশ্য ছিল।
প্রশাসনের বাধার পরেও বিক্ষোভ দেখান জম্মু ও কাশ্মীরের বাম কর্মী সমর্থকরা। সমাজমাধ্যমে সিপিআইএম-র পক্ষ থেকে বিক্ষোভের একাধিক ছবি শেয়ার করে জানানো হয়, "শ্রমিকদের উপর নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও, বিজেপির শ্রমিক-বিরোধী, কৃষক-বিরোধী, যুব-বিরোধী, ছাত্র-বিরোধী এবং কর্পোরেট-পন্থী নীতির বিরুদ্ধে সিআইটিইউ কর্তৃক ডাকা সর্বভারতীয় সাধারণ ধর্মঘটের সমর্থনে কৃষক, যুব ও ছাত্ররা রাস্তায় বেরিয়েছে"।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন