
দেশজুড়ে সাধারণ ধর্মঘটের ব্যাপক প্রভাব পড়েছে বিহারে। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী বিহারে তেজস্বী যাদবের সাথে চাক্কা জ্যাম কর্মসূচিতে অংশ নিলেন কংগ্রেস সাংসদ তথা লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। এছাড়া বিহারের বিভিন্ন জেলায় জেলায় চলছে বনধের সমর্থনে অবরোধ-পিকেটিং-মিছিল।
বুধবার সকাল থেকে বিহারের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও রেল স্টেশন অবরোধ শুরু করেন বনধ সমর্থনকারীরা। ২৭ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করতে গোপালগঞ্জে যান মহাগঠবন্ধনের কর্মীরা। তাঁদের আটক করেছে বিহার পুলিশ। সিপিআই (এমএল) নেতা অজাত শত্রু, আরজেডি জেলা সভাপতি দিলীপ সিং, কংগ্রেস জেলা সভাপতি ওমপ্রকাশ গর্গ এবং প্রাক্তন বিধায়ক রেয়াজুল হক রাজুও তাঁদের মধ্যে রয়েছেন।
হাজিপুরে আরজেডি সমর্থকরা গান্ধী সেতু অবরোধ করেছিলেন। সোনপুরে আরজেডি বিধায়ক মুকেশ রোশনের নেতৃত্বে পথ অবরোধ করা হয়। এছাড়া আরজেডির ছাত্র সংগঠনের সদস্যরা জেহানাবাদ স্টেশনে রেল অবরোধও করেন। আরারিয়া, দারভাঙ্গা সহ অন্যান্য স্টেশনেও রেল অবরোধ করা হয়। বিভিন্ন স্থানে ট্রেন চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছিল।
আজ সকাল থেকেই পূর্ব ও পশ্চিম করিডোর অবরোধ করে রেখেছে বনধ সমর্থকরা। ইউপি সীমান্ত থেকে মোতিহারি সীমান্ত পর্যন্ত জাতীয় সড়কে যানজট রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছে পুলিশ। প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয়, সাধারণ মানুষের অসুবিধা করে কোনও বিক্ষোভ করতে দেওয়া হবে না।
অন্যদিকে, পাটনায় চাক্কা জ্যাম কর্মসূচি এবং Special Intensive Revision (SIR)-এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে রাহুল গান্ধী, তেজস্বী যাদবের নেতৃত্বে মিছিল করেন মহাগঠবন্ধনের কর্মী সমর্থকরা। যা আসন্ন বিহার বিধানসভা নির্বাচনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।
লালুপুত্র তেজস্বী যাদব সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, “মানুষ যখন অন্যায়ের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করে, তখনই পরিবর্তন শুরু হয়। আজ বিহারে তার শুরু হয়েছে”।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন