

নিট দুর্নীতি এবং নেট বাতিলের প্রতিবাদে আজ বৃহস্পতিবার গোটা দেশজুড়ে ছাত্র ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে সিপিআইএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআই। সেই ধর্মঘটকে সমর্থন জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলি। বুধবার কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলির পক্ষে সিআইটিইউ পশ্চিমবঙ্গ কমিটির সম্পাদক অনাদি সাহু বিবৃতি দিয়ে এই সমর্থনের কথা জানিয়েছেন।
সিআইটিইউ, এআইটিইউসি, টিইউসিসি, ইউটিইউসি, এআইসিসিটিইউ’র মতো একাধিক ট্রেড ইউনিয়নের পক্ষে থেকে বুধবার যৌথ বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, ‘‘মূলত সর্বভারতীয় নিট, নেট পরীক্ষায় দুর্নীতি, প্রশ্ন ফাঁস ও আমাদের রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতির প্রতিবাদে এই ছাত্র ধর্মঘট। গত কয়েক বছর নিয়ম করে আমাদের রাজ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হয়ে চলেছে।’’
বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, “ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি বা এনটিএ-র পুরো ব্যবস্থার মধ্যে ব্যাপক অস্বচ্ছতা আছে। পরীক্ষার কেন্দ্র নির্বাচন থেকে সবকিছুতেই অস্বচ্চতা ছিল। এই প্রশ্ন ফাঁসের ফলে দেশজুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে লক্ষ লক্ষ ছাত্রছাত্রী।“
রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে বলা হয়, ‘‘গত কয়েক বছর ধরে স্কুলগুলিতে শিক্ষক নেই। যোগ্য মেধাবী পরীক্ষার্থীরা কলকাতা শহরে ধর্ণা মঞ্চে আর অযোগ্যরা টাকার বিনিময়ে স্কুলে পড়াচ্ছেন। কেবল তাই নয়, ৮ বছর ধরে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা হচ্ছে না। শিক্ষকের অভাবে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে একাধিক স্কুল। এটি শিক্ষার বেসরকারিকরণের ভয়ানক চক্রান্ত। জাতীয় শিক্ষানীতি বলছে, পয়সা যার শিক্ষা তার। রাজ্যের সরকারের নীতিও তাই।’’
শ্রমিক সংগঠনগুলির ক্ষোভ, "টাকা যার শিক্ষা তার নীতিতে সবচেয়ে আক্রান্ত শ্রমিক-কৃষক পরিবারের সন্তানরা। মেধা থাকা সত্ত্বেও শ্রমিক-কৃষক খেতমজুর পরিবারের সন্তানরা উচ্চ শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এক ভয়ানক পরিস্থিতির মধ্যে দেশ ও রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা।’’
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন