

এক সময় রাজ্যসভায় বহু বিতর্কিত বিল পাশে সমর্থন করে বিজেপি সরকারকে সাহায্য করেছিল। এবার সেই সম্পর্ক ছিন্ন করল নবীন পট্টনায়কের নেতৃত্বাধীন বিজু জনতা দল (বিজেডি)। বুধবার রাজ্যসভায় রাষ্ট্রপতির ভাষণে প্রধানমন্ত্রীর ধন্যবাদ প্রস্তাব দেওয়ার সময় সংসদ থেকে ওয়াকআউট করেন বিরোধীরা। বিরোধীদের সঙ্গে ওয়াকআউটে সামিল হন বিজেডির ন’জন সাংসদ।
এনডিএ শরীক না হওয়া সত্ত্বেও নবীন পট্টনায়কের বিজেডি গত দশ বছর ধরে সংসদের দুই কক্ষেই বিজেপির বন্ধুর ভূমিকায় থেকেছে। রাজ্যসভায় বিজেডির সমর্থন সরকারের বহু বিতর্কিত বিল পাশ হতে সাহায্য করেছে। কিন্তু নির্বাচনে ওড়িশাতে বিজেপির কাছে হারার পর সমীকরণ বদলে যায় দুই দলের।
লোকসভায় তাদের দলের কোনো সাংসদ না থাকলেও রাজ্যসভায় ন’জন সাংসদ রয়েছে বিজেডির। আগেই বিজেডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, সংসদে তারা আর বিজেপিকে সমর্থন করবে না। সেই মতো, বুধবার প্রধানমন্ত্রীর ধন্যবাদ প্রস্তাব চলাকালীন রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়্গের নেতৃত্বে বিরোধীদের সঙ্গে ওয়াকআউটে সামিল হলেন বিজেডির ন’জন সাংসদ।
সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থায় উচ্চকক্ষের বিজেডি নেতা সস্মিত পাত্র জানিয়েছেন, “বিজেডি সাংসদরা এবার রাজ্যসভায় শুধু বিভন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবেন না। এনডিএ সরকার যদি ওড়িশার প্রকৃত দাবিগুলিকে উপেক্ষা করতে তাহলে আমরা আন্দোলন করব।“
উল্লেখ্য, কিছু মূল ইস্যু এবং আইন যেগুলি রাজ্যসভায় পাশ হতে বিজেপি সরকার বিজেডির সমর্থন পেয়েছিল, সেগুলো হল - জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার এবং এটিকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করার জন্য কেন্দ্রের পদক্ষেপ, সন্ত্রাস বিরোধী আইন UAPA, তথ্য অধিকার আইনের সংশোধন এবং যে আইন দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নরকে রাজধানীর সরকারি কর্মকর্তাদের উপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ দিয়েছে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন