

গোষ্ঠী সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পরে থেকে শনিবার প্রথম মণিপুর সফরে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সকল জনগোষ্ঠীকে সংঘর্ষ ভুলে শান্তি ফেরানোর অনুরোধ করলেন তিনি।
সংঘর্ষ শুরু হওয়ার ২ বছর পর মণিপুরের মাটিতে পা রাখলেন নরেন্দ্র মোদী। চুরাচাঁদপুরে ৭,৩০০ কোটি টাকার প্রকল্পের শিলান্যাস করেন তিনি। পাশাপাশি রোড শো করেন। একটি সভাও করেন সেখানে।
সমস্ত জনগোষ্ঠীর উদ্দেশ্যে মোদী বলেন, আপনারা শান্ত থাকুন সকলে। নিজেদের সন্তানদের ভবিষ্যতের কথা ভাবুন। আপনাদের জন্য মণিপুরে অনেক কিছু করা হচ্ছে। স্বাস্থ্য ও শিক্ষা ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করবে এই প্রকল্প।
চুরাচাঁদপুরের পর তিনি যান ইম্ফলে। সেখানে জনসভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, মণিপুরের বিকাশরথ ক্রমশ এগিয়ে যাচ্ছে। ২০১৪ সালের আগে মণিপুরে বিকাশের হার ১%-র থেকেও কম ছিল। কিন্তু এখন বিকাশ হচ্ছে। সড়কপথ আগের থেকে উন্নত হয়েছে। গ্রামে গ্রামে রাস্তা তৈরির কাজ হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, "মণিপুরের হিংসা দুর্ভাগ্যজনক। এটা ঘটা উচিত হয়নি। মণিপুরকে শান্তি আর বিকাশের মাধ্যমে লাগাতার এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই কাজ করতে হবে। এই মাটিতেই অনেক বীর শহিদ হয়েছেন। তাঁদের বলিদান আমরা অসম্মান করতে পারি না"।
প্রধানমন্ত্রীর কথায়, "মণিপুরের অনেক সন্তান ভারত মাতার রক্ষায় নিযুক্ত রয়েছে। অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে ভারতীয় সেনারা যোগ্য জবাব দিয়েছে। সেটা গোটা বিশ্ব দেখেছে। সেই সাফল্যে মণিপুরের অনেক বীর সেনার অবদান রয়েছে"।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের মে মাস থেকে গোষ্ঠী সংঘর্ষে উত্তপ্ত মণিপুর। কুকি ও মেইতেই জনজাতির সশস্ত্র সংঘর্ষের জেরে গত ২ বছর ২৫০ জনের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। ঘরছাড়া প্রায় ৫৭,০০০ জন। তাঁদের বেশিরভাগ ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন