
তদন্তকারীদের বিরুদ্ধেও তদন্ত হওয়া উচিত। এর অন্যতম কারণ হল সাধারণ মানুষের মনে বিশ্বাস সৃষ্টি করা যে তদন্তকারী সংস্থাগুলি নিরপেক্ষতা বজায় রাখে। এমনটাই পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের।
বুধবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের দুই আধিকারিকের বিরুদ্ধে তদন্তের অনুমতি দিয়ে দিল দেশের শীর্ষ আদালত। ২০ বছর আগের পুরনো একটি মামলায় এই নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
অভিযোগ ছিল, ক্ষমতার অপব্যবহার করে ভয় দেখানো, অবৈধভাবে নথি বাজেয়াপ্ত করা এবং অভিযুক্তদের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছিলেন সিবিআইয়ের তৎকালীন যুগ্ম অধিকর্তা ও এক ইনস্পেক্টর। এই অভিযোগে এক ব্যবসায়ী-সহ দু’জন এফআইআর দায়েরের আবেদন জানিয়েছিলেন।
দিল্লি হাইকোর্ট আগেই ওই দুই আধিকারিকের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়েরের নির্দেশ দিয়েছিল। পরে তা চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যান সিবিআই আধিকারিকরা। কিন্তু বিচারপতি পঙ্কজ মিত্তল ও বিচারপতি পিবি ভারালের বেঞ্চ হাইকোর্টের রায়ই বহাল রাখে।
সুপ্রিম কোর্ট জানায়, “কখনও কখনও তদন্তকারীদের বিরুদ্ধেও তদন্ত করা প্রয়োজন। এই পদক্ষেপের সময় এসে গিয়েছে।” আদালত আরও নির্দেশ দেয়, দিল্লি পুলিশের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার বা তাঁর থেকে উচ্চতর পদমর্যাদার আধিকারিককে দিয়ে তদন্ত করাতে হবে।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালে বাজেয়াপ্ত মেমো না করেই জিনিসপত্র বাজেয়াপ্ত করার অভিযোগ ওঠে এক সিবিআই আধিকারিকের বিরুদ্ধে। এছাড়া, জামিনে থাকা এক অভিযুক্তকে অবৈধভাবে ডেকে পাঠানোর অভিযোগও উঠেছিল। হাইকোর্ট জানিয়েছিল, এগুলো কেবল প্রক্রিয়াগত ত্রুটি নয়, বরং ক্ষমতার অপব্যবহার।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন