
উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে 'ইন্ডিয়া' শিবিরের কয়েকজন সাংসদের বিরুদ্ধে ক্রস ভোটিং-র অভিযোগ উঠছে। যদিও কারা এই কাজে যুক্ত তা জানা যায়নি। এরই মধ্যে গোটা বিষয়ে তদন্ত করার দাবি জানালেন কংগ্রেস সাংসদ মণীশ তেওয়ারি।
এনডিএ শিবির ক্রস ভোটিং নিয়ে বিরোধীদের মধ্যে 'ঐক্য নেই' বলে আক্রমণ চালাচ্ছে। ২০২৫ সালের পাশাপাশি ২০২৬ সালেও একাধিক রাজ্যে নির্বাচন রয়েছে। ফলে বিষয়টি গুরুত্ব সহকার পর্যবেক্ষণ করার দাবি জানিয়েছেন কংগ্রেস নেতা মণীশ তেওয়ারি। তিনি বলেন, “যদি সত্যিই ক্রস ভোটিং হয়ে থাকে তবে ইন্ডিয়া জোটের প্রতিটি সহযোগী দলকেই তা গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখা উচিত। এটি আস্থার উপর গুরুতর আঘাত এবং নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে স্পষ্ট করতে হবে।”
এর আগে কেন্দ্রীয় সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু বিরোধীদের কটাক্ষ করে বলেন, “ইন্ডিয়া জোটের কিছু সাংসদ তাঁদের বিবেক অনুসারে এনডিএ প্রার্থী সি পি রাধাকৃষ্ণনকে ভোট দিয়েছেন, তাঁদের বিশেষ ধন্যবাদ। ভারতের নতুন উপ-রাষ্ট্রপতি হিসেবে একজন দক্ষ ও দেশপ্রেমিক মানুষ নির্বাচিত হওয়ায় অভিনন্দন।”
যদিও উপ-রাষ্ট্রপতি নির্বাচন গোপন ব্যালটে হয় এবং হুইপ প্রযোজ্য নয়, সাধারণত সাংসদরা দলীয় সিদ্ধান্ত মেনেই ভোট দেন। বিরোধীরা দাবি করেছিল, তাঁদের পক্ষে ৩১৫ সাংসদ ভোট দেবেন। কিন্তু প্রার্থী বি সুদর্শন রেড্ডি পান মাত্র ৩০০ ভোট। অন্যদিকে এনডিএ’র প্রাপ্ত ভোট সংখ্যা দাঁড়ায় ৪৫২, যা প্রত্যাশিত সংখ্যা ৪৩৮-এর তুলনায় ১৪ বেশি।
এছাড়া ১৫টি ভোট বাতিল হওয়ায় সন্দেহ আরও গভীর হয়েছে। সূত্রের খবর, অন্তত সাতটি বাতিল ভোটে একই ধরণের ভুল ছিল। এনডিএ প্রার্থীকে চিহ্নিত করা হলেও ভুল বাক্সে মার্ক করা হয়েছে।
অভিযোগ অবশ্য বিরোধী দলগুলো নস্যাৎ করেছে। এনসিপি নেত্রী সুপ্রিয়া সুলে বলেন, “যখন ভোট গোপন ছিল, তখন কীভাবে জানা গেল কারা কোথায় ভোট দিল?”
শিবসেনা (উদ্ধব) সাংসদ অরবিন্দ সাওয়ান্ত অভিযোগ করেন, “ভুল ভোট দেওয়া সাংসদরা কি অশিক্ষিত নাকি ব্ল্যাকমেলড? বিজেপি বিশ্বাসঘাতকতার বীজ বপন করেছে।” অপরদিকে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, বিজেপি নাকি প্রতিটি সাংসদকে কিনতে ১৫–২০ কোটি টাকা পর্যন্ত খরচ করেছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন