

এসআইআর-র কাজ করতে গিয়ে বিএলও-দের মৃত্যুর দায় রাজ্য সরকারের! এমনটাই পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সূর্য কান্তের। এসআইআর-র কাজের জন্য বিএলও-দের উপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করার অভিযোগ মামলা দায়ের হয়ে সুপ্রিম কোর্টে। যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি।
মামলাটি করে জনপ্রিয় অভিনেতা থালাপতি বিজয়ের দল তামিলাগা ভেত্রি কাঝাগাম (টিভিকে)। তাদের অভিযোগ, নির্বাচন কমিশন বিএলওদের উপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করছে। এখনও পর্যন্ত এসআইআর-র কাজ করতে গিয়ে ৩৫-৪০ জন বিএলও-র মৃত্যু হয়েছে। এমনকি জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ৩২ নম্বর ধারাকে হাতিয়ার করে ভয় দেখানো হচ্ছে তাঁদের। যার কারণে অনেক বিএলও মানসিকভাবে এবং শারীরিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। এই শারা অনুযায়ী কোনও বিএলও বা নির্বাচনী আধিকারিকের বিরুদ্ধে যদি কাজে গাফিলতির অভিযোগ প্রমাণিত হয় তাহলে তাঁর ২ বছরের জেল পর্যন্ত হতে পারে। যার কারণেই আরও চাপে পড়ছেন বিএলওরা।
উত্তরপ্রদেশে ৫০ জন বিএলও-দের বিরুদ্ধে ৫০টি মামলা হয়েছে বলেও আদালতে অভিযোগ করেছে বিজয়ের দল। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে নির্বাচন কমিশনের আইনজীবী। তাঁর পাল্টা দাবি, এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন।
মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিষয়টি বিবেচনার আহ্বান জানিয়ে টিভিকে-র আইনজীবী গোপাল শঙ্করনারায়ণ আদালতে বলেন, “এক তরুণ নিজ বিয়ের জন্য ছুটি চেয়েছিলেন, কিন্তু তা অনুমোদিত হয়নি। ফলস্বরূপ তিনি আত্মহত্যা করেন। নির্বাচন হবে—ঠিক আছে, কিন্তু কিছুটা সহানুভূতি ও মানবিকতা তো থাকা উচিত।”
সওয়াল জবাব শেষে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সূর্য কান্ত অবশ্য পুরো বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে দায়ী করতে রাজী নন। তিনি জানান, নির্বাচন কমিশনের যাঁরা কাজ করেন তাঁরা সকলেই রাজ্য সরকারের কর্মী। তাঁদের মৃত্যু সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক। তবে রাজ্য সরকারের উচিত প্রয়োজনে ১০ হাজার কর্মীর পরিবর্তে ৩০ হাজার কর্মী নিয়োগ করা।
আদালত আরও নির্দেশ দেয়, কোনও বিএলও অসুস্থ বা অক্ষমতার কারণে ছুটি চাইলে তাঁকে অবিলম্বে ছুটি দিতে হবে। তাঁর বদলে বিকল্প কর্মী নিযুক্ত করতে হবে। এই সুবিধা না পেলে সংশ্লিষ্ট অফিসার আইনগতভাবে উচ্চতর কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করতে পারবেন বলেও জানায় আদালত।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন