

গ্রামীণ মহিলাদের থেকে শহরে থাকা মহিলাদের বেকারত্বের হার বেশি। পাশাপাশি দেশে গত ৫ বছরে কমেছে সার্বিক বেকারত্বের হার। তৃণমূল সাংসদ অভিষেক ব্যানার্জির প্রশ্নের উত্তরে সংসদে পরিসংখ্যান প্রকাশ করলেন কেন্দ্রীয় শ্রম প্রতিমন্ত্রী শোভা করন্দলাজে।
সংসদের চলতি শীতকালীন অধিবেশনে ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক ব্যানার্জি ৫টি প্রশ্ন করেন। তিনি জানতে চান, গত কয়েক বছরে সামগ্রিক ভাবে দেশে বেকারত্বের হারে কী পরিবর্তন হয়েছে? বিশেষত, নারী ও যুবকদের মধ্যে বেকারত্ব কি উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে? যদি তা হয়ে থাকে, তা হলে তার নেপথ্যে কারণ কী কী? নারী ও যুবকদের কর্মসংস্থানের জন্য ঠিক কতটা উদ্যোগী হয়েছে কেন্দ্র? কর্মীদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্যই বা কেন্দ্র কী করেছে? তাতে কতজন উপকৃত হয়েছেন?
তৃণমূল সাংসদের প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় শ্রম প্রতিমন্ত্রী জানান, সর্বশেষ উপলব্ধ বার্ষিক পিএলএফএস রিপোর্ট অনুসারে, ১৫ বছর বা তার বেশি বয়সী ব্যক্তিদের জন্য স্বাভাবিক অবস্থার উপর আনুমানিক বেকারত্বের হার (ইউআর) ২০১৯-২০ সালে ৪.৮ শতাংশ, ২০২০-২১ সালে ৪.২ শতাংশ, ২০২১-২২ সালে ৪.১ শতাংশ এবং ২০২২-২৩ এবং ২০২৩-২৪ সালে ৩.২ শতাংশ ছিল।
১৫-২৯ বছর বয়সী তরুণদের জন্য ২০১৯-২০ সালে ১৫ শতাংশ, ২০২০-২১ সালে ১২.৯ শতাংশ, ২০২১-২২ সালে ১২.৪ শতাংশ, ২০২২-২৩ সালে ১০ শতাংশ এবং ২০২৩-২৪ সালে ১০.২ শতাংশ ছিল।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরও জানান, ২০১৯-২০ সালে দেশের গ্রামাঞ্চলে ৪.৫ শতাংশ পুরুষ এবং ২.৬ শতাংশ মহিলা কর্মহীন ছিলেন। তবে ২০২৩-২৪ সালে পুরুষদের বেকারত্ব ২.৭ এবং মহিলাদের ২.১ শতাংশ হয়েছে। শহরাঞ্চলে ২০১৯-২০ সালে কর্মহীন ছিলেন ৬.৪ শতাংশ পুরুষ এবং ৮.৯ শতাংশ মহিলা। ২০২৩-২৪ সালে তা কমে হয়েছে যথাক্রমে ৪.৪ এবং ৭.১ শতাংশ।
কেন্দ্রীয় শ্রম প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, “কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি সরকারের অগ্রাধিকার। সেই অনুযায়ী, সরকার বিভিন্ন কর্মসংস্থান সৃষ্টির প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এর মধ্যে রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কর্মসংস্থান সৃষ্টি কর্মসূচি (PMEGP), মহাত্মা গান্ধী জাতীয় গ্রামীণ কর্মসংস্থান নিশ্চয়তা প্রকল্প (MGNREGS), দীনদয়াল অন্ত্যোদয় যোজনা- জাতীয় গ্রামীণ জীবিকা মিশন (DAY-NRLM), দীনদয়াল উপাধ্যায় গ্রামীণ কৌশল যোজনা (DDU-GKY), গ্রামীণ স্ব-কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান (RSETIs), দীন দীনদয়াল অন্ত্যোদয় যোজনা- জাতীয় নগর জীবিকা মিশন (DAY- NULM), প্রধানমন্ত্রীর রাস্তার বিক্রেতাদের আত্মনির্ভর নিধি (PM SVANidhi), স্ট্যান্ড-আপ ইন্ডিয়া স্কিম, স্টার্ট আপ ইন্ডিয়া, প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনা (PMMY) ইত্যাদি।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন