

দিল্লিতে ক্ষমতাসীন হবার পর প্রথম নির্বাচনেই কিছুটা হলেও শক্তি হ্রাস হল বিজেপির। মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন অফ দিল্লির (MCD) ১২টি আসনের উপনির্বাচনে দখলে থাকা ২টি আসন হাতছাড়া হল বিজেপির। উল্লেখযোগ্যভাবে একটি আসনে বাম দল ফরওয়ার্ড ব্লক জয়ী হয়েছে। যদিও দলগত ভাবে ১২ আসনের মধ্যে বিজেপি জয়ী হয়েছে ৭ আসনে, ৩ আসনে আম আদমি পার্টি এবং ১টি করে আসনে কংগ্রেস ও ফরওয়ার্ড ব্লক জয়ী হয়েছে।
উপনির্বাচনের আগে এই ১২ আসনের মধ্যে বিজেপির দখলে ছিল ৯টি আসন। এই উপনির্বাচনের পর এমসিডিতে দলগত অবস্থায় বিজেপি ১২২, আপ ১০২ এবং কংগ্রেস ৯ আসনে পৌঁছালো। ১২ আসনের মধ্যে ১১ জনই শেষ বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হওয়ায় এই আসনগুলি শূন্য হয়েছিল।
বিজেপি
বিজেপি যে ৭ আসনে জয়ী হয়েছে তার মধ্যে আছে দ্বারকা বি, শালিমার বাগ বি, চাঁদনী চক, অশোক বিহার, গ্রেটার কৈলাস, বিনোদ নগর এবং দিচাওন কালান।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তর ছেড়ে যাওয়া শালিমার বাগ বি আসনে বিজেপি প্রার্থী অনিতা জৈন জয়ী হয়েছেন ১০,১০১ ভোটে।
অশোক বিহার কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী নীনা অসিজা জয়ী হয়েছেন ৪০৫ ভোটে।
দ্বারকা বি আসনে জয়ী হয়েছেন বিজেপির মনীষা দেবী। জয়ের ব্যবধান ৯,১০০ ভোট।
বিনোদ নগর কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী সরলা চৌধুরী জয়ী হয়েছেন ১,৭৬৯ ভোটে।
গ্রেটার কৈলাস কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী আঞ্জুম মণ্ডল জয়ী হয়েছে ৪,০৬৫ ভোটে।
দিচাওন কালান কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী রেখা রানী জয়ী হয়েছেন ৫,৬৩৭ ভোটে।
চাঁদনী চক কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী সুমন কুমার গুপ্তা জয়ী হয়েছে ১,১৮২ ভোটে।
আম আদমি পার্টি
উপনির্বাচনে আম আদমি পার্টির তিন প্রার্থী জয়ী হয়েছেন যথাক্রমে দক্ষিণ পুরী, মুন্ডকা এবং নারাইনা কেন্দ্রে। এই তিন কেন্দ্রের মধ্যে নারাইনা কেন্দ্রে আপ প্রার্থীর জয়ের ব্যবধান ১৪৮, মুন্ডকায় ১,৫৭৭ এবং দক্ষিণ পুরী কেন্দ্রে জয়ের ব্যবধান ২,২৬২ ভোট। নারাইনা কেন্দ্রে জয়ী হয়েছেন রাজন অরোরা। দক্ষিণপুরী আসনে জয়ী হয়েছেন রামস্বরূপ কানোজিয়া এবং মুন্ডকা আসনে জয়ী হয়েছেন অনিল লাকড়া।
কংগ্রেস ও ফরওয়ার্ড ব্লক
কংগ্রেসের সুরেশ চৌধুরী সঙ্গম বিহার কেন্দ্রে জয়ী হয়েছেন ৩,৬২৮ ভোটে।
চাঁদনী মহল কেন্দ্রে ফরওয়ার্ড ব্লক প্রার্থী মহম্মদ ইমরান জয়ী হয়েছেন ৪,৬৯২ ভোটে।
গত ৩০ নভেম্বর এই ১২ আসনে ভোটগ্রহণ হয়। ভোট পড়েছিল ৩৮.৫১%। নির্বাচনী লড়াইয়ের ময়দানে ছিলেন মোট ৫১ জন প্রার্থী। যার মধ্যে ২৬ জন ছিলেন মহিলা প্রার্থী।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন