

ওএমআর শিট বিকৃতকাণ্ডে সুপ্রিম স্বস্তি পেলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল ও ডেপুটি সেক্রেটারি পার্থ কর্মকার। শুক্রবার দেশের শীর্ষ আদালত থেকে রক্ষাকবচ পেলেন ওই দুই আধিকারিক।
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে ওএমআর শিট বিকৃতকাণ্ডে গৌতম পাল এবং পার্থ কর্মকারকে সিবিআই জেরার নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলি। তিনি এও নির্দেশ দেন সিবিআই প্রয়োজনবোধ করলে তাঁদের হেফাজতে নিয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবেন। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যান পর্ষদের আধিকারিকরা।
শুক্রবার সেই মামলার শুনানি ছিল। মামলাকারীর আইনজীবী আদালতে জানান, গৌতম পাল কিছুই জানেন না। ওএমআর শিট বিকৃত হয়েছে বহু বছর আগে। গৌতম পাল পর্ষদ সভাপতির দায়িত্ব পান গতবছর।
এরপর সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু এবং বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদীর বেঞ্চ জানায়, এখনই গ্রেফতার করা যাবে না পর্ষদ সভাপতি এবং ডেপুটি সেক্রেটারিকে। তবে হাইকোর্টের নির্দশ অনুযায়ী তদন্তে সহযোগিতা করতে হবে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ৯ নভেম্বর।
প্রসঙ্গত, এই মামলার প্রথম শুনানিতে বিচারপতিরা জানিয়েছিলেন, পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল এবং ডেপুটি সেক্রেটারি পার্থ কর্মকার শীর্ষ আদালতের তরফ থেকে এখনই রক্ষাকবচ পাবেন না। তদন্তে সহযোগিতা করলে গ্রেফতারির আশঙ্কার প্রশ্নই থাকে না। ফলে রক্ষাকবচের প্রয়োজন নেই। তবে সুপ্রিম কোর্টের নয়া নির্দেশের কারণে আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তাঁদের গ্রেফতার করতে পারবে না সিবিআই।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন
