বিহারের ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধনের (SIR) কাজে বেআইনি বা অবৈধ কিছুর প্রমাণ পেলেই সমস্ত প্রক্রিয়া বাতিল করে দেওয়া হবে। এমনই হুঁশিয়ারি দিল সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি এই মামলায় চূড়ান্ত যে রায় দেওয়া হবে তা সমগ্র দেশে কার্যকর হবে বলেও জানিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত।
সোমবার শুনানির সময় বিচারপতি সুর্য কান্ত ও জয়মাল্য বাগচির বেঞ্চ জানায়, নির্বাচন কমিশন একটি সাংবিধানিক সংস্থা হওয়ায় তারা আইন ও বাধ্যতামূলক নিয়ম মেনে চলবে বলে বিশ্বাস করা হচ্ছে। তবে বেঞ্চ স্পষ্ট করে জানিয়েছে, "যদি কোনও অবৈধতা খুঁজে পাওয়া যায়, তাহলে আমরা বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করবো এবং সেক্ষেত্রে পুরো প্রক্রিয়াটি বাতিল করা যেতে পারে।"
উল্লেখ্য, গত ৮ সেপ্টেম্বর আদালত নির্দেশ দিয়েছিল যে ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির সময় আধারকে ১১টি অন্য নথির পাশাপাশি পরিচয়পত্র হিসেবে গ্রহণ করতে হবে। তবে আধারকে নাগরিকত্ব প্রমাণের জন্য ব্যবহার করা যাবে না। এই নির্দেশ পরিবর্তনের দাবি জানিয়ে একটি নতুন আবেদন শোনা হয় সোমবার। এ বিষয়ে চূড়ান্ত শুনানি হবে আগামী ৭ অক্টোবর।
এই নতুন মামলার একটি পক্ষের আইনজীবী অশ্বিনী উপাধ্যায় জানান, এসআইআর-এর জন্য প্রয়োজনীয় নথি হিসাবে আধারকে বিবেচনা করা যায় না, কারণ পূর্বে অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গেছে বিদেশীদের কাছে আধার নথি রয়েছে।
অন্যদিকে, বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি এই বিশেষ পুনর্বিবেচনা প্রক্রিয়ার কড়া সমালোচনা করেছে। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ও আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব বিহারে ভোটারদের অধিকার রক্ষার বার্তা দিয়ে ভোটার অধিকার যাত্রাও করেন। তাঁদের অভিযোগ - এসআইআর ভোট চুরির একটি পরিকল্পনা, যা বিজেপিকে সুবিধা দিতেই নির্বাচন কমিশনের সহযোগিতায় করা হচ্ছে।
যদিও রাহুল গান্ধীর অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন