চলতি মাসের শুরুতেই বিহারে একসাথে ভোটার অধিকার যাত্রা করেছিলেন রাহুল গান্ধী এবং তেজস্বী যাদব। কিন্তু ১৫ দিনের মধ্যেই কংগ্রেস এবং আরজেডির মধ্যে দূরত্ব বাড়তে শুরু করেছে। সৌজন্যে আসন্ন বিহার বিধানসভা নির্বাচনে আসন বণ্টন নিয়ে তেজস্বী যাদবের করা এক মন্তব্য। কে কত আসনে লড়বে সেটাই এখন বড় সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছে ইন্ডিয়া শিবিরের মধ্যে।
রবিবার মুজাফ্ফরপুর জেলায় অনুষ্ঠিত এক প্রোগ্রামে বিহারের বিরোধী দলনেতা তেজস্বী যাদব বলেন, “এবার তেজস্বী ২৪৩ আসনেই লড়বে, সেটা মুজাফ্ফরপুর হোক বা বোচাহন বা গাইঘাট বা কান্তি।”
তেজস্বীর এই মন্তব্যে ইন্ডিয়া শিবিরে ফাটল তৈরি হতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে। একাংশ মনে করছেন এই মন্তব্য করে তিনি কংগ্রেসের উপর চাপ বাড়াতে চাইছেন। যাতে বিরোধী দল হিসেবে বিহারে আরজেডির প্রাধান্য বজায় থাকে।
অন্যদিকে, কংগ্রেস অন্তত ৭০টি আসনে লড়ার দাবি তুলছে। ২০২০ সালের নির্বাচনেও তারা একই সংখ্যক আসনে লড়েছিল, তবে জয়ী হয়েছিল মাত্র ১৯টিতে। ফলে অনেকের মতে, কংগ্রেসের দুর্বল ফলই তখন বিরোধীদের সরকার গঠনের পথে প্রধান বাধা হয়েছিল, যদিও আরজেডি ৭৫ আসন পেয়ে রাজ্যে সবচেয়ে বড় দল হয়েছিল।
আরজেডি মুখপাত্র মৃণাল তিওয়ারি বলেন, “তেজস্বী যাদব মহাগঠবন্ধনের সবচেয়ে স্বাভাবিক মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী। আসন বণ্টন নিয়ে আলোচনা আগে হবে, তারপর নেতৃত্ব প্রসঙ্গে সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে।”
অন্যদিকে কংগ্রেস মুখপাত্র জ্ঞান রঞ্জন গুপ্ত বলেন, “তেজস্বীজির বক্তব্য ছিল নিজের অবস্থান জানানোর উপায়। তবে মহাগঠবন্ধনে কোনো দ্বন্দ্ব নেই, যেমনটা এনডিএ-তে আছে। নেতৃত্বের প্রশ্ন পরে সমন্বয় কমিটি দেখবে।”
আগামী বৈঠকে শুধু কংগ্রেস নয়, বিকাশশীল ইনসান পার্টি, বামফ্রন্ট, পশুপতি কুমার পারসের রাষ্ট্রীয় লোক জনশক্তি পার্টি ও ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার দাবিও খতিয়ে দেখা হবে।
এখন দেখার মহাগঠবন্ধন ভেতরের টানাপোড়েন কাটিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে ভোটে নামতে পারে কিনা, নাকি ভাঙনের ছাপ নিয়েই নির্বাচনের মুখে যাবে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন