পড়ুয়াদের এবার জানতে হবে ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিভিন্ন কর্মসূচি, দক্ষতা সম্পর্কে। এমনকি তাদের পড়ানো হবে 'অপারেশন সিঁদুর', 'অপারেশন বিজয়'-র মতো সেনাবাহিনীর অভিযানগুলিও। ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং (এনসিইআরটি) এমনই নির্দেশ জারি করেছে বলে জানা গেছে। দেশের সকল ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে দেশপ্রেম জাগিয়ে তুলতে সেনার সামরিক অভিযানকে হাতিয়ার করা হচ্ছে।
NCERT-র নির্দেশিকা অনুযায়ী, আগামী দিনে দেশের সমস্ত স্কুলে আয়োজন করতে হবে ‘ভারতীয় ভাষা সামার ক্যাম্প'। যেখানে ছোটো ছোটো গল্পের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের শেখানো হবে ভারতীয় সেনাবাহিনীর কার্যকলাপ।
শুধু সামরিক অভিযানই নয়, এই কর্মসূচির আওতায় দেশের বিভিন্ন ভাষা, সংস্কৃতি ও খাদ্যাভ্যাস নিয়েও চলবে আলোচনা। প্রতি স্কুলে ৭৫ থেকে ১০০ জন পড়ুয়াকে যুক্ত করতে হবে এই বিশেষ প্রশিক্ষণমূলক ক্যাম্পে। সপ্তাহের শেষে অতিরিক্ত ক্লাসও নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। ক্যাম্পে যোগদানকারী সকল পড়ুয়াকে শংসাপত্র দেওয়া হবে। তারা কী শিখলো কতটা শিখলো তা যাচাই করতে হবে শিক্ষকদের।
তবে রাজ্যের কিছু স্কুল এই নির্দেশিকায় সংশয় প্রকাশ করেছে। অনেক প্রধানশিক্ষক মনে করছেন, পাঠ্যসূচি শেষ হওয়ার পর অতিরিক্ত ক্লাস করানো বাস্তবসম্মত নয়। ফলে এনসিইআরটি-র এই পদক্ষেপ ঘিরে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
সম্প্রতি এনডিটিভি শিক্ষা সম্মেলনে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান জানিয়েছিলেন, রাজস্থান সরকারের পাঠ্যক্রমে অপারেশন সিঁদুর অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। উত্তরাখণ্ডেও এটি বিবেচনা করা হচ্ছে। দিল্লি সরকার এটি নিয়ে কাজ করছে এবং মধ্যপ্রদেশেও করার সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি বলেন, দেশের শক্তি ও ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য সরকারের বিশ্বাস আছে এমন সমস্ত বিষয় শিশুদের মধ্যে গেঁথে দেওয়া উচিত। যে রাজ্য সরকারগুলি এই দিকে উদ্যোগ নিয়েছে তারা ভালো কাজ করেছে, এনসিইআরটি সর্বদা এই ধরণের ভালো বিষয়ের উপর মনোযোগ দিয়ে আসছে। এনসিইআরটি অবশ্যই এই সমস্ত বিষয়ের উপরও মনোযোগ দেবে।
এখন দেখার বিষয়, NCERT-র এই নির্দেশ কীভাবে বাস্তবায়িত হয় দেশের বিভিন্ন রাজ্যের স্কুলগুলিতে। আদৌ এই উদ্যোগ শিক্ষাক্ষেত্রে কার্যকর কোনও পরিবর্তন আনতে পারে কি না সেটা সময়ই বলবে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন