

মুখ্য নির্বাচন কমিশনার নির্বাচক প্যানেল থেকে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির নাম বাদ দেবার সরকারি প্রচেষ্টার প্রতিবাদ জানালেন সিপিআইএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। বৃহস্পতিবার এক এক্স (অতীতের ট্যুইটার) বার্তায় এই প্রতিবাদ জানান ইয়েচুরি।
এদিনের বার্তায় তিনি বলেন, দিল্লি সরকারের ক্ষমতার বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের একটি রায় প্রত্যাখ্যান করার পরে, মোদী সরকার এখন প্রধানমন্ত্রীর দ্বারা নির্বাচিত একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সাথে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের বিষয়েও সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চের এক রায়কে অস্বীকার করল।
তিনি আরও বলেন, মোদি সরকার বিচার বিভাগকে অধীনস্থ করার জন্য ইসরায়েলের চরম দক্ষিণপন্থী সরকারের প্রচেষ্টাকেও ছাড়িয়ে যাচ্ছে। ভারতের সংবিধান নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনকে "অবাধ ও নিরপেক্ষ" নির্বাচন পরিচালনা করার পথ দেখিয়েছে। কেন্দ্রের এই পদক্ষেপ নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নষ্ট করবে।
প্রসঙ্গত এদিনই কেন্দ্রের আনা এক বিলে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার নির্বাচন পর্ব থেকে বাদ দেওয়া হয় প্রধান বিচারপতিকে। দ্য চিফ ইলেকশন কমিশনার অ্যান্ড আদার ইলেকশন কমিশনারস (অ্যাপয়েন্টমেন্ট, কন্ডিশনস অফ সার্ভিসেস অ্যান্ড টার্ম অফ অফিস) বিল, ২০২৩ আজই রাজ্যসভায় পেশ হয়েছে। এই বিলেই প্রধান বিচারপতিকে বাদ দেবার প্রস্তাব রাখা হয়েছে।
এই বিলের প্রস্তাব অনুসারে, এখন থেকে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী, লোকসভার বিরোধী দলনেতা এবং প্রধানমন্ত্রীর মনোনীত একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর প্যানেলের পাঠানো নাম রাষ্ট্রপতি চূড়ান্ত করবেন।
ইতিমধ্যেই এই বিলের প্রতিবাদ জানিয়েছেন দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল। কেন্দ্রীয় সরকারের এই প্রস্তাবের পরেই রাজনৈতিক মহল থেকে এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন