

মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে ফের ডামাডোল। মহারাষ্ট্র মন্ত্রিসভায় জায়গা না পাওয়ায় দলীয় পদ থেকে ইস্তফা দিলেন একনাথ শিন্ধে গোষ্ঠীর অন্যতম নেতা তথা বিধায়ক নরেন্দ্র ভোন্ডেকার। তবে বিধায়ক পদ থেকে এখনও পদত্যাগ করেননি তিনি।
নরেন্দ্র ভোন্ডেকার শিবসেনার বিদর্ভ অঞ্চলের সমন্বয়কারীর পদ থেকে ইস্তফা দেন। তবে, ভান্ডারা-পাভানি কেন্দ্রের বিধায়ক পদ থেকে তিনি এখনও পদত্যাগ করেননি।
নরেন্দ্র ভোন্ডেকার শিবসেনার তিনবারের বিধায়ক। সূত্রের খবর, এই মন্ত্রিসভায় মন্ত্রী পদ পাওয়ার প্রতিশ্রুতি পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ না হওয়ায় হতাশ হয়ে তিনি প্রথমে একনাথ শিন্ধে, শ্রীকান্ত শিন্ধে এবং সিনিয়র নেতা উদয় সামন্তকে বার্তা পাঠান। কিন্তু তারও কোনও প্রতিক্রিয়া পাননি। শেষে আজ তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন।
উল্লেখ্য, এই বছরের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি-নেতৃত্বাধীন মহাযুতি জোট ২৩৫টি আসনে বিশাল জয় অর্জন করে। এর মধ্যে বিজেপি ১৩২টি আসন নিয়ে একক বৃহত্তম দল হয়, যেখানে শিবসেনা (শিন্ডে) এবং এনসিপি (অজিত পাওয়ার) যথাক্রমে ৫৭ এবং ৪১টি আসন পায়। রবিবার মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিস নতুন মন্ত্রিসভায় ৩৯ জন মন্ত্রীকে অন্তর্ভুক্ত করেন। নাগপুরে রাজভবনে আয়োজিত শপথ অনুষ্ঠানে ১৯ জন বিজেপি, ১১ জন শিবসেনা এবং ৯ জন এনসিপি বিধায়ক মন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। শিবসেনার পক্ষে মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন উদয় সামন্ত, শম্ভুরাজ দেশাই, দাদাজি ভুসে, সঞ্জয় রাঠোড়, গুলাবরাও পাতিল এবং সঞ্জয় শিরসাত।
এনসিপির প্রবীণ নেতা চগ্গান ভুজবলও মন্ত্রিত্ব পাননি। শপথ অনুষ্ঠানের আগে দলীয় বৈঠকেও তিনি অনুপস্থিত ছিলেন। একইভাবে শিন্ধে গোষ্ঠীর আর এক নেতা দীপক কেসারকর শপথ অনুষ্ঠানে যাননি। ফলে মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে নতুন কোনও সমীকরণ দেখা যাবে কিনা তা সময়ই বলবে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন