
ভারতের 'অপারেশন সিঁদুর' (Operation Sindoor) নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে জোর চর্চা হচ্ছে। বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রনায়করা ভারতের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন। পাশাপাশি এই ঘটনাকে 'লজ্জাজনক' বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে জঙ্গী হানায় ২৬ জন সাধারণ নাগরিকের মৃত্যুর ১৪ দিন পর বুধবার মধ্যরাতে এই আঘাত হানা হয়। পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গি ঘাঁটিগুলি লক্ষ্য করে হামলা চালায় ভারতীয় বায়ুসেনা।
ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, “ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী ‘অপারেশন সিঁদুর’ শুরু করেছে। পাকিস্তান এবং পাক-অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরের সন্ত্রাসী ঘাঁটিগুলো লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়, যেগুলি ভারতের অভ্যন্তরে হামলার পরিকল্পনা ও নির্দেশ দিচ্ছিল।” হামলার পর পাকিস্তানের তরফে পাল্টা গোলাবর্ষণ শুরু হলে সীমান্তে উত্তেজনা চরমে পৌঁছায়। ঘটনাটি বিশ্বজুড়ে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের বলেন, "এটা খুবই লজ্জাজনক। আমরা এই বিষয়ে ওভাল অফিসে যাওয়ার সময় জানতে পারি। আমি আশা করি শত্রুতা খুব দ্রুত শেষ হবে। সকলেই জানেন ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে লড়াই দশকের পর দশক ধরে চলে আসছে। আমরা আশা করি খুব দ্রুত এই লড়াই শেষ হবে।"
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ভারত ও পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন এবং দুই দেশকেই উত্তেজনা প্রশমনের বার্তা দেন।
রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এই ঘটনায় ‘গভীর উদ্বেগ’ প্রকাশ করেছেন। তাঁর মুখপাত্র বলেন, “গুতেরেস উভয় দেশকে সর্বোচ্চ সংযম দেখাতে আহ্বান জানিয়েছেন, বিশেষ করে এই দুই দেশ পারমাণবিক শক্তিধর। এটাই চিন্তার কারণ।”
এদিকে, সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল্লাহ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান ভারতের ও পাকিস্তানকে সংযম বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।
ভারতে নিযুক্ত ইজরায়েলের রাষ্ট্রদূত রিউভেন আজার বলেন, “ইজরায়েল ভারতের আত্মরক্ষার অধিকারকে সমর্থন করে। সন্ত্রাসবাদীদের জানা উচিত, নিরপরাধদের ওপর জঘন্য হামলার পরিণতি অবশ্যই পেতে হয়।”
প্রসঙ্গত, গত ২৯শে এপ্রিল, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শীর্ষ প্রতিরক্ষা আধিকারিকদের সাথে এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে, পহেলগাঁও সন্ত্রাসবাদী হামলার প্রতিক্রিয়ার ধরণ, লক্ষ্য এবং সময় নির্ধারণের জন্য সশস্ত্র বাহিনীকে "সম্পূর্ণ অপারেশনাল স্বাধীনতা" দিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী মোদী “সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে এক ভয়াবহ আঘাত” মোকাবিলার জন্য জাতীয় সংকল্পের উপরও জোর দিয়েছিলেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন