
সংস্কৃত আসলে হল বৈজ্ঞানিক ভাষা এবং সবচেয়ে বেশী কম্পিউটার বান্ধব ভাষা। এমনকি নাসার বিজ্ঞানীরাও এর কোডিং ক্ষমতাকে স্বীকৃতি দিয়েছেন। সম্প্রতি সংস্কৃত ভাষার পুনরুত্থানের পক্ষে মন্তব্য করতে গিয়ে এই দাবি করেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তা।
দিল্লি সরকার এবং ‘সংস্কৃত ভারতী’ নামের এক এনজিও-র সহযোগিতায় গত ২৩ এপ্রিল থেকে সংস্কৃত শিক্ষা উদ্যোগের আয়োজন করা হয়েছিল। গত রবিবার তার সমাপনী অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে সংস্কৃত ভাষা নিয়ে কথা বলার সময় তিনি বলেন, “ভারতের গৌরবময় ইতিহাস রচিত সংস্কৃত ভাষায়। আমাদের সংস্কৃতি এতে লিপিবদ্ধ রয়েছে। বিশ্বের ৬০টিরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানো হয় সংস্কৃত ভাষা। আমি আর একটু গবেষণা করে জেনেছি নাসার বিজ্ঞানীরাও এর উপর গবেষণাপত্র লিখেছেন। এটিকে একটি বৈজ্ঞানিক ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন এর কোডিং ক্ষমতাকে স্বীকৃতি দিয়েছেন। এই ভাষাই হল সবচেয়ে বেশি কম্পিউন্টার বান্ধব ভাষা”।
রেখা গুপ্তার কথায়, সংস্কৃত হল ভারতীয় সংস্কৃতির ভিত্তি এবং সেই সাথে দেশজুড়ে প্রচলিত অনেক ভারতীয় ভাষারও ভিত্তি।
তিনি বলেন, “প্রত্যেক রাজ্যের আলাদা আলাদা মাতৃভাষা আছে। কিন্তু বাস্তবে, সংস্কৃত আমাদের সকলের মাতৃভাষা। কারণ প্রতিটি ভাষাই সংস্কৃত থেকে এসেছে। হিন্দি, মারাঠি, বাংলা, সিন্ধি, মালায়ালম -- এগুলো সবই সংস্কৃতের শাখা”।
মিসেস গুপ্তা আরও জানিয়েছেন, “ভারত যদি বিশ্বগুরু হতে চায়, তাহলে আমাদের সংস্কৃতের মাধ্যমে গভীর জ্ঞান অর্জন করতে হবে। এটিই সেই ভাষা যা একসময় আমাদের বিজ্ঞান, ব্যবসা এবং সংস্কৃতি পরিচালনা করত”।
সমাজমাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের সমালোচনা করেছেন অনেকে। এরও জবাব দিয়েছেন তিনি। তিনি ১৯৮৫ –এর রিক ব্রিগস –এর লেখা ‘নলেজ রিপ্রেসেনটেশন ইন সংস্কৃত অ্যান্ড আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স’ গবেষণাপত্রের কথা উল্লেখ করেন। তাঁর মতে, ওই গবেষণাপত্রে সংস্কৃতকে এমন ভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছিল, যা বর্তমান দিনের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে মিলে যায়। রিক ব্রিগস তখন নাসা অ্যামেস রিসার্চ সেন্টারের সাথে যুক্ত ছিলেন।
এবার থেকে দিল্লির স্কুলে বাচ্চাদের সংস্কৃত অধ্যায়নে আরও বেশি করে জোর দেওয়া হবে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন