

প্রধানমন্ত্রীর মায়ের প্রয়াণে অমিত শাহ, রাষ্ট্রপতি, উপ-রাষ্ট্রপতি ছাড়াও শোকপ্রকাশ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাহুল গান্ধী, এম কে স্ট্যালিন সহ একাধিক বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতারা। গোটা দেশ এই কঠিন মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রীর পাশে রয়েছেন - এই বার্তাই দিতে চেয়েছেন তাঁরা।
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীও গভীরভাবে শোকাহত হয়েছেন। তাঁর লেখাতেই তা স্পষ্ট। তিনি লিখেছেন, "প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মা হীরাবেনের মৃত্যুর খবর অত্যন্ত দুঃখজনক। এই কঠিন সময়ে, আমি তাঁকে এবং তাঁর পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা ও ভালোবাসা জানাই"।
বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী লেখেন, মা হীরাবেন মোদীর প্রয়াণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রতি সমবেদনা জানাই। ওনার (হীরাবেন মোদী) আত্মার শান্তি কামনা করি। আমি আশা করছি এই শোকের সময় প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর পরিবার আরও শক্ত হোক।
তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন লেখেন, “প্রিয় নরেন্দ্র মোদীজী আপনার মা হীরাবার সাথে আপনার যে মানসিক বন্ধন ছিল তা আমরা সবাই জানি। মা হারানোর শোক সহ্য করা খুব কঠিন। আমি গভীরভাবে দুঃখিত এবং আপনার ক্ষতির জন্য আমি কতটা দুঃখিত তা বর্ণনা করতে পারব না। এই শোকের মুহূর্তে আমার গভীর শোক ও আন্তরিক সমবেদনা জ্ঞাপন করছি”।
শোকপ্রকাশ করে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু লেখেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মা হীরা বা-এর আজীবন সংগ্রাম (শত বছর) ভারতীয় আদর্শের প্রতীক৷ শ্রী নরেন্দ্র মোদী 'মাতৃদেবভব'-র চেতনা এবং হীরাবেনের মূল্যবোধকে তাঁর মধ্যে উপলব্ধি করেছেন। আমি পবিত্র আত্মার শান্তির জন্য প্রার্থনা করছি। ওনার পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা!"।
শোকপ্রকাশ করেছেন ভারতের উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ও। তিনি ট্যুইটারে লেখেন, প্রধানমন্ত্রীর মাতৃবিয়োগে আমি গভীর ভাবে মর্মাহত। তিনি মাতৃত্বের সদগুণ, সরলতা এবং মহত্ত্বের প্রতীক।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ লিখেছেন, "পরিবারের জন্য হীরা বা যে সংগ্রামের মুখোমুখি হয়েছিলেন তা সকলের জন্য একটি আদর্শ। তাঁর ত্যাগী তপস্বী জীবন আমাদের স্মৃতিতে সর্বদা থাকবেন। গোটা রাষ্ট্র এই শোকের মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং তাঁর পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে। কোটি কোটি মানুষের প্রার্থনা মানুষ আপনার (মোদী) সঙ্গে আছে। ওম শান্তি”
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন