
মঙ্গলবার আবারও ধসের সাক্ষী রইলো সেনসেক্স এবং নিফটি। এদিন এখনও পর্যন্ত সেনসেক্স নেমেছে ১,২০০ পয়েন্টের কাছাকাছি এবং নিফটি নেমেছে প্রায় ৩৭০ পয়েন্ট। বেলা পৌনে তিনটের সময় সেনসেক্স ১,২০০ পয়েন্টে নেমে দাঁড়িয়ে ছিল ৭৬,১১৬.৩৪ পয়েন্টে। এই নিয়ে একটানা পাঁচটি ট্রেডিং সেশনে নামলো সেনসেক্স। ব্যাঙ্কিং, অটো, মেটাল এবং তথ্যপ্রযুক্তির শেয়ারের দামে এদিন ভারী পতন হয়েছে।
তথ্য অনুসারে, এদিন বাজারের মোট বিনিয়োগের মূল্য কমেছে ৯.৮৭ লক্ষ কোটি টাকা। এদিনের ধসের পরে সেনসেক্সের মোট মার্কেট ক্যাপিটালাইজেশন কমে দাঁড়িয়েছে ৪০৭.৯৫ লক্ষ কোটি টাকা।
সোমবার বাজার বন্ধের সময় সেনসেক্স দাঁড়িয়ে ছিল ৭৭,৩১১.৮০ পয়েন্টে। এদিন সেনসেক্স খোলে ৭৭,৩৮৪.৯৮ পয়েন্টে। একসময় তা ছুঁয়ে আসে ৭৭,৩৮৭.২৮ পয়েন্ট। যা এদিনের ডে হাই। যদিও এর কিছুক্ষণ পর থেকেই সেনসেক্সের পতন শুরু হয়। এখনও পর্যন্ত এদিনের ডে লো ৭৬,০৩০.৫৯ পয়েন্ট। উল্লেখ্য সেনসেক্সের ৫২ সপ্তাহের সর্বনিম্ন স্তর ৭০,২৩৪.৪৩।
একইভাবে সোমবার নিফটি ৫০ বন্ধ হয়েছিল ২৩,৩৮১.৬০ পয়েন্টে। যা এদিন খোলে ২৩,৩৮৩.৫৫ পয়েন্ট। নিফটি ৫০-তে এদিনের ডে হাই ২৩,৩৯০.০৫ পয়েন্ট এবং ডে লো ২২,৯৮৬.৬৫ পয়েন্ট। অর্থাৎ এদিন নিফটি ২৩,০০০ ভেঙে নিচে নেমেছে। যা বিশেষজ্ঞদের মতে অশনি সংকেত। উল্লেখ্য, নিফটির ক্ষেত্রে ৫২ সপ্তাহের সর্বনিম্ন স্তর ২১,২৮১.৪৫ পয়েন্ট।
এদিন দাম পড়েছে জোমাটো, অ্যাপেলো হসপিটাল, হ্যাল, ইচার মোটরস প্রভৃতি শেয়ারের।
বিশেষজ্ঞদের মতে ফরেন ইন্সটিটিউশনাল ইনভেস্টর (এফআইআই)-দের লাগাতার বিক্রির জেরে এদিন শেয়ার বাজারে ভারী পতন ঘটেছে। বিশেষজ্ঞরা আর জানাচ্ছেন, এফআইআই-রা যদি এইভাবে বাজার থেকে টাকা তুলে নেওয়া চালিয়ে যান সেক্ষেত্রে ভারতীয় শেয়ার বাজারের অবস্থা আরও খারাপ হবে।
(শেয়ার বাজারের বর্তমান অবস্থা নিয়ে এই প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ সবসময়ই ঝুঁকিপূর্ণ। এই বিষয়ে কোনও রকম সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ গ্রহণ বাঞ্ছনীয়)
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন