

উত্তর প্রদেশের কুশিনগর জেলায় মসজিদ ভাঙার ঘটনায় সুপ্রিম কোর্টে ভর্ৎসনার মুখে পড়লো উত্তরপ্রদেশ সরকার। কেন উত্তরপ্রদেশ সরকারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা শুরু করা হবে না? প্রশ্ন শীর্ষ আদালতের।
সোমবার বিচারপতি বি.আর. গাভাই ও এ.জি. মসিহের বেঞ্চ রাজ্য প্রশাসনের উদ্দেশ্যে নোটিশ জারি করে। অভিযোগ উঠেছে, মসজিদের একাংশ ভাঙার পদক্ষেপ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরিপন্থী। ২০২৪ সালের ১৩ নভেম্বর এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
আদালতের নির্দেশে বলা হয়েছে, "বিতর্কিত নির্মাণটি ব্যক্তিগত মালিকানাধীন জমিতে নির্মিত হয়েছিল এবং ১৯৯৯ সালে অনুমোদিত পরিকল্পনার ভিত্তিতে নির্মাণ করা হয়েছিল। যদিও এই অনুমোদন বাতিলের চেষ্টা করা হয়েছিল আগে। ২০০৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে হাইকোর্ট তা খারিজ করে দেয়। ফলে, অনুমোদন এখনো কার্যকর রয়েছে।"
আদেশে আরও বলা হয়েছে, "কুশিনগর প্রশাসনের দাবি ছিল, মসজিদের কিছু অংশ অবৈধ। আবেদনকারীরা আগেই সেই অংশ সরিয়ে ফেলেছিলেন। তবুও, কোনো নোটিশ ছাড়াই মসজিদের একটি অংশ ভেঙে ফেলা হয়েছে, যা আদালতের নির্দেশ লঙ্ঘনের শামিল।"
সুপ্রিম কোর্ট রাজ্যকে দুই সপ্তাহের মধ্যে নোটিশের জবাব দিতে বলেছে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত মসজিদ এবং চত্বরে আর কোনো ভাঙার কাজ চালানো যাবে না বলে জানিয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে সুপ্রিম কোর্ট এক নির্দেশে স্পষ্ট জানিয়েছিল, কোনো নির্মাণ ভাঙার আগে সংশ্লিষ্ট পক্ষকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিতে হবে এবং তাদের বক্তব্য জানাতে কমপক্ষে ১৫ দিন সময় দিতে হবে। তবে আবেদনকারীদের আইনজীবী হুজেফা আহমাদীর দাবি, কুশিনগর মসজিদ ভাঙার আগে কোনো নোটিশ দেওয়া হয়নি, যা শীর্ষ আদালতের অবমাননার সমান।
এই ঘটনায় উত্তর প্রদেশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে। এখন দেখার বিষয়, সুপ্রিম কোর্টের নোটিশের জবাবে রাজ্য সরকার কী ব্যাখ্যা দেয়।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন