
কেরালার বাম সরকারের প্রশংসা করে দলের সমালোচনার মুখে কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর। নাম না করে শশী থারুরের সমালোচনা করেছে কেরালা প্রদেশ কংগ্রেসের মুখপত্র।
সম্প্রতি একটি ইংরাজী দৈনিকের নিবন্ধে কেরালার অর্থনীতির বিকাশ নিয়ে লেখেন শশী থারুর। যা নিয়েই বিতর্কের সূত্রপাত। নিবন্ধে তিনি লেখেন, ২০২১-র ১ জুলাই থেকে ২০২৩-র ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে কেরালায় ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের বিকাশ ব্যাকপভাবে হয়েছে। কেরালা বদলাচ্ছে। ২০২৪-র গ্লোবাল স্টার্ট আপের উপযোগী পরিবেশ হিসেবে কেরালা নিজেকে গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে। এই নিবন্ধ প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই কেরালা প্রদেশ কংগ্রেসের মধ্যে সমালোচিত হচ্ছেন শশী থারুর।
কেরালায় কংগ্রেসের মুখপত্র ভিকশনম ডেইলি সোমবার একটি প্রতিবেদনে নাম না করে শশী থারুরকে আক্রমণ করেছে। যেখানে বলা হয়েছে, রাজ্যে বিরোধী শক্তি ক্রমশ শক্তিশালী হচ্ছে। অথচ কিছু ব্যক্তি সেই উত্থানকে দুর্বল করতে চাইছেন। কংগ্রেস যখন বিধানসভার ভেতরে ও বাইরে বাম সরকারের ত্রুটিগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করছে, তখন দলে ভেতর থেকে ভাঙন সৃষ্টি করা আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত হবে।
মুখপত্রে বাম সরকারকে কেরালার শিল্প খাত ধ্বংসের জন্য দায়ী করা হয়েছে। বলা হয়েছে, অতীতে শঙ্কর, সি অচ্যুত মেনন, কে করুণাকরণ, এ কে অ্যান্টনি ও ওমেন চান্ডির মতো নেতাদের শাসনামলে রাজ্য উল্লেখযোগ্য শিল্প প্রতিষ্ঠানের উত্থান দেখেছে। সেই তুলনায় বর্তমান সরকার শিল্প বিকাশের নামে ‘নাটক’ করছে।
যদিও শশী থারুরের বক্তব্য, তিনি কেরালার বাম সরকারের প্রশংসা করেননি। রাজ্যের স্টার্টআপ সেক্টরের উন্নতির কথা বলেছিলেন। একটি ইংরেজি দৈনিকে প্রকাশিত নিবন্ধে তিনি শুধুমাত্র কেরালার উদ্যোক্তাদের সাফল্য তুলে ধরতে চেয়েছিলেন, এতে কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ছিল না।
তবে শশী থারুরের মন্তব্যকে সমর্থন জানিয়েছে কেরালার এলডিএফ সরকার। মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন জানান, থারুরের বক্তব্য কংগ্রেসের "ভুয়ো প্রচার"কে ব্যর্থ করে দিল।
এই বিতর্ক আসন্ন স্থানীয় নির্বাচনে কংগ্রেসের অবস্থানকে কি প্রভাবিত করবে? করলে কীভাবে করবে? সেই প্রশ্ন উঠছে রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন