

সম্ভল মসজিদ চত্বরে এই মুহূর্তে কোনওরকমের পরীক্ষা নিরীক্ষা করা যাবে না। শুক্রবার এই মর্মে উত্তরপ্রদেশ সরকারকে নোটিশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, ওই অঞ্চলে স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে হবে। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চ এই নির্দেশ জারি করেছে। 'পরিচালনা কমিটি শাহী জামে মসজিদ, সম্ভল বনাম হরি শঙ্কর জৈন ও অন্যান্য' মামলায় একথা জানিয়েছে শীর্ষ আদালত।
সম্প্রতি সম্ভলের মসজিদ অন্তর্গত অঞ্চলে এক কুয়ো পাওয়া যায়। যা নিয়ে নতুন করে বিতর্ক দানা বাধে। যার প্রেক্ষিতে সম্ভল নগর পালিকা এক নির্দেশিকা জারি করে। এর পরেই মসজিদ কমিটির পক্ষ থেকে শীর্ষ আদালতের কাছে এই বিষয়ে আবেদন জানানো হয়। শীর্ষ আদালতের বিতর্কিত ওই অঞ্চলে কোনও প্রার্থনা অথবা নিরীক্ষার ওপরেও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
এদিন বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চ উত্তরপ্রদেশ সরকারকে জানিয়েছে, ওই কুয়োয় যাবার রাস্তায় সিসিটিভি বসাতে হবে। এছাড়াও মসজিদে প্রবেশের পথে ওই কুয়োয় যেন আপাতত কোনও পূজা না করা হয় তাও উত্তরপ্রদেশ সরকারকে নিশ্চিত করতে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে এই বিষয়ে উত্তরপ্রদেশ সরকারকে শীর্ষ আদালতের কাছে স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দিতে হবে। ২১শে ফেব্রুয়ারি মামলাটির পরবর্তী শুনানির জন্য দিন ধার্য করেছে শীর্ষ আদালত।
মসজিদ কমিটি বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় এবং এই অঞ্চলে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশের আবেদন জানায়। কমিটি যুক্তি দেয় যে কুয়োটি মসজিদ প্রাঙ্গণে আংশিকভাবে অবস্থিত এবং জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য এটি খুলে দিলে এই অঞ্চলের সম্প্রীতি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
পূর্ববর্তী শুনানির সময়, সুপ্রিম কোর্ট এই সম্পর্কিত বিষয়ের শুনানি শেষ না হওয়া পর্যন্ত আদালতগুলিকে উপাসনালয় আইন সম্পর্কিত মামলাগুলি নিবন্ধন করতে নিষেধ করেছিল। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ আদালতগুলিকে অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ বা সমীক্ষার নির্দেশ জারি করতেও নিষেধ করেছিল।
অ্যাডভোকেট হরি শঙ্কর জৈন এবং আরও সাতজনের দায়ের করা মামলায় একটি দেওয়ানি আদালত ওই মসজিদে সমীক্ষার নির্দেশ দেয়। মামলায় দাবি করা হয়েছিল যে মুঘল আমলে ভেঙে ফেলা মন্দিরের উপর মসজিদটি নির্মিত হয়েছিল।
২০২৪ সালের নভেম্বরে, শীর্ষ আদালত আদালতের আদেশের পর হিংসার পরিপ্রেক্ষিতে কর্তৃপক্ষকে শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখার আহ্বান জানায়।
মামলার সর্বশেষ আবেদনে, মসজিদ কমিটি আদালতকে জানায়, সম্ভল জেলা প্রশাসন, "পুরাতন মন্দির এবং কূপগুলির তথাকথিত পুনরুজ্জীবন" করার জন্য, মসজিদের কাছে অবস্থিত কূপটি ব্যবহারের জন্য প্রস্তাবিত জনসাধারণের প্রবেশাধিকারের প্রচার করছে। অভিযোগ করা হয়েছে যে ওই নোটিশে মসজিদটিকে একটি মন্দির হিসাবে তুলে ধরা হচ্ছে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন