মসজিদে সমীক্ষা নিয়ে অশান্ত সম্ভল, নিহত ৩! সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপের আর্জি প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর

People's Reporter: প্রিয়াঙ্কা লেখেন, 'অন্য পক্ষের কথা না শুনে এবং উভয় পক্ষকে আস্থা না দিয়ে প্রশাসন যেভাবে একটি স্পর্শকাতর বিষয়ে তাড়াহুড়ো করছে তাতে বোঝা যায় সরকার নিজেই পরিবেশ নষ্ট করেছে।'
প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা
প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরাফাইল ছবি সংগৃহীত
Published on

সম্ভলের ঘটনায় সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপ চেয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হলেন কংগ্রেসের নবনির্বাচিত সাংসদ প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। পাশাপাশি অশান্তি মোকাবিলায় যোগী প্রশাসনের কড়া সমালোচনা করলেন তিনি।

উত্তরপ্রদেশের সম্ভলে একটি মসজিদে সমীক্ষাকে কেন্দ্র করে পস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। সমীক্ষকদের লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়তে থাকে বিক্ষোভকারীদের একাংশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রবাট বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস প্রয়োগ করে পুলিশ। বিক্ষোভকারী-পুলিশ সংঘর্ষে ৩ জনের মৃত্যুর খবর সামনে আসছে। আহত ৩০ জনেরও বেশি। তবে ওই ৩ জনের মৃত্যু কীভাবে হয়েছে তা নিয়ে অফিসিয়ালি এখনও কিছু জানা যায়নি। বিক্ষোভকারীদের দাবি নিহতদের শরীরে বুলেটের চিহ্ন ছিল।

সম্ভলের অশান্তির ঘটনা নিয়ে এক্স মাধ্যমে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী লেখেন, 'উত্তরপ্রদেশের সম্বলে অশান্তি মোকাবিলায় রাজ্য সরকারের মনোভাব খুবই দুর্ভাগ্যজনক। অন্য পক্ষের কথা না শুনে এবং উভয় পক্ষকে আস্থা না দিয়ে প্রশাসন যেভাবে একটি স্পর্শকাতর বিষয়ে তাড়াহুড়ো করে কাজ করেছে তাতে বোঝা যায় সরকার নিজেই পরিবেশ নষ্ট করেছে। প্রশাসন প্রয়োজনীয় পদ্ধতি ও কর্তব্য পালন করাও জরুরি মনে করেনি'।

তিনি আরও লেখেন, 'ক্ষমতায় বসে বৈষম্য, নিপীড়ন ও বিভাজন ছড়ানোর চেষ্টা কোনোদিন জনগণের স্বার্থে বা দেশের স্বার্থে কাম্য হতে পারে না। মাননীয় সুপ্রিম কোর্টের উচিত বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করে ন্যায়বিচার করা। আমি রাজ্যের জনগণকে এমন পরিস্থিতিতে শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানাচ্ছি'।

প্রিয়াঙ্কা ছাড়াও সম্ভলের ঘটনা নিয়ে সরব হয়েছেন সমাজবাদী পার্টির সাংসদ অখিলেশ যাদব। তিনি লেখেন, জরিপের নামে চক্রান্ত করে উত্তেজনা ছড়ানোর বিষয়ে অবিলম্বে সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। সামাজিক সম্প্রীতি নষ্ট হচ্ছে। যারা সম্প্রীতি ধ্বংস করার জন্য স্লোগান দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

সম্প্রতি সম্ভলের একটি আদালতে মামলা হয়, যেখানে বলা হয়, ১৫২৯ সালে মোগল সম্রাট বাবর হরিহর মন্দির ভেঙে তার উপরে জামা মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন। সেই কারণেই গত মঙ্গলবার মসজিদের সমীক্ষার নির্দেশ দেয় আদালত। আদালতের নির্দেশের পরই এলাকায় উত্তেজনা ছড়াতে থাকে। যা আজ চরমে ওঠে। মোরাদাবাদের পুলিশ কমিশনার অঞ্জনেয়া কুমার সিংহ জানান, জনতার ছোড়া ইটের আঘাতে ১৫ জন পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন।

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in